Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভোট পর্বের জন্য দু কোটি টাকায় ভাড়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ভোট পর্বের জন্য দু কোটি টাকায় ভাড়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ভোট পর্বে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল খরচের বোঝা ইতিমধ্যেই চেপেছে। এবার ৪৮ দিনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বিশিষ্ট বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ভাড়া করতে প্রায় ২ কোটি টাকা খসবে নবা…

 





ভোট পর্বের জন্য দু কোটি টাকায় ভাড়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স



ভোট পর্বে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল খরচের বোঝা ইতিমধ্যেই চেপেছে। এবার ৪৮ দিনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বিশিষ্ট বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ভাড়া করতে প্রায় ২ কোটি টাকা খসবে নবান্নের। ভোট পর্বে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে আকাশপথে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে কমিশনের তরফে ‘হেলি অ্যাম্বুলেন্স’ সর্বদা প্রস্তুত রাখার আবেদন করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। তারপরই হেলিকপ্টারের খোঁজে নামে পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু ভোট প্রচারে ভিভিআইপি’দের যাত্রা সুগম করতে সব হেলিপক্টারের বুকিং আগাম হয়ে গিয়েছে। তাই কোনও হেলি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। অগত্য নিরুপায় হয়ে অ্যাম্বুলেন্স এয়ারক্রাফ্ট ভাড়া নিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোটের জন্য ৪৮ দিন ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা গুনতে হবে রাজ্যকে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধাযুক্ত এই বিমানের উপযোগিতা ঘিরে প্রশাসনের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেন? জবাবে এক আমলা বলেন, হেলিকপ্টার অবতরণ অনেক বেশি মসৃণ প্রক্রিয়া। সমতল, মালভূমি কিংবা পাহাড়ে যেকোনও জায়গায় হেলি অ্যাম্বুলেন্স নামতে পারে। কিন্তু বিমান অবতরণের জন্য দীর্ঘ রানওয়ে এবং এয়ারপোর্ট একান্ত আবশ্যক। সেই হিসেবে ভাড়া নেওয়া সেই বিমান রাজ্যের চারটি এয়ারপোর্টে নামতে পারবে। সেগুলি হল, দমদম, অন্ডাল, বাগডোগরা ও কোচবিহার। সংশ্লিষ্ট ওই সরকারি কর্তার দাবি, দার্জিলিংয়ে কোনও ব্যক্তিকে কলকাতায় উড়িয়ে আনার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বিমানকে বাগডোগরাতেই নামতে হবে। তারপর সড়ক পথে ওই অসুস্থকে বিমান বন্দর পর্যন্ত আনতে হবে। সেক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক খুব অবস্থা খারাপ হলে, গাড়িতে এতটা পথ এসে পৌঁছানোই বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে কমিশনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কতটা সাধিত হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই আমলা। বিষয়টির গভীরতা বুঝে রাজ্যের তরফে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সাড়া দিয়েছে বায়ু সেনা। ভোটপর্বে  হাসিমারা, কলাইকুণ্ডা ও পানাগড় বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করা সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে।     

No comments