Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দিন দুপুরে লুঠ হয়ে যাচ্ছে আবাসন

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/K8sCFNNAn7k
কি কান্ড! দিন দুপুরে লুঠ হয়ে যাচ্ছে আবাসন, এই মুহূর্তে শিল্পাঞ্চল এলাকায় চাঞ্চল্যকর খবর। কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুঠ।
কারখানার সম্পদ লুঠের পর এবার আবাসনের সম্পদ লুঠ হচ্ছে, সাধারণ ম…

 


ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/K8sCFNNAn7k


কি কান্ড! দিন দুপুরে লুঠ হয়ে যাচ্ছে আবাসন, এই মুহূর্তে শিল্পাঞ্চল এলাকায় চাঞ্চল্যকর খবর। কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুঠ।


কারখানার সম্পদ লুঠের পর এবার আবাসনের সম্পদ লুঠ হচ্ছে, সাধারণ মানুষ বাধা দিতে গেলে হুমকি দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষী।

হলদিয়াতে এইচএসসি কারখানা শুরু হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের একটি সংস্থা (এইচএফসি)। হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার পরে (হলদিয়া হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার লিমিটেড নামে কারখানাটি গড়ে ওঠে)বতর্মানে কারখানার ভিতরে পুরো কারখানার যন্ত্রাংশ কাটিং হয়ে জলপথে বিক্রি হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন জমি ফিরানোর ব্যাপার নিয়ে আইনি লড়াই চলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেন্ট্রাল মেলেটারি ফোর্স ওই জায়গা থেকে তুলে নেবার পর বর্তমানে বেসরকারি একটি সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জায়গাটি হলদিয়া বন্দরের তাদের কাছ থেকে কারখানা গড়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল।

 কিন্তু কারখানা উৎপাদনের আগেই বন্ধ হয়ে যায়। কারখানার কর্মীদের জন্য গড়ে উঠেছিল  হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকা টাউনশিপে বহু আবাসন । বতর্মানে সেই আবাসন গুলি এখন ভুতুড়ে বাড়ি আকার ধারণ করেছে। হলদিয়া টাউনশিপ এলাকায় নিজস্ব হাসপাতাল, অডিটোরিয়াম, খেলার মাঠ এবং আবাসনের এলাকায় জল দেওয়ার জন্য নিজস্ব পাম্প  হাউস করে ছিলেন সেই সময়। কিন্তু কারখানা বন্ধ হওয়ার পরেই বিভিন্ন কারখানায় চলে যায় মানুষ জন। সেই সকল আবাসন গুলি পড়ে থাকে দরজা-জানলা সহ সবই লুঠ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এখন বিল্ডিংয়ের  ইট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তার সাথে প্রত্যেকটি বিল্ডিং ছিল জলের পাইপলাইন। পাম্প হাউসে ভাল্ব সহ লোহার পাইপ যে বিছানা ছিল। সেই পাইপ গুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় সিকিউরিটি দাঁড়িয়ে থেকে সেইগুলি বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানালেন ওই এলাকার মানুষজন। কারখানার প্রাক্তন কর্মী নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক তিনি বললেন আমরা দেখছি আমাদের চোখের সামনে থেকে কারখানার ভিতরে পুরো কারখানাটাই কাটিং হয়ে নদীপথে, এবং সড়ক পথে বিক্রি হয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছিল ভিতরে। কারণ কারখানাটি একটি কেমিক্যাল কারখানা আর তার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের দামি ও গাছ লাগানো হয়েছিল সেই গাছগুলি বৃক্ষে আকার ধারণ করেছিল ‌‌ সেই গাছগুলো এখন বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ভারতীয় মজদুর সংঘ বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে জানালেন  বনদপ্তর রয়েছেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় বহু গাছ কাটা হয়ে বিক্রি হয়ে গেছে। বর্তমানে এইচএফসি কারখানা ওই জায়গাটি খুব শীঘ্রই হলদিয়া বন্দরকে হস্তান্তর করবে। আর তার আগেই সমস্ত জিনিস দিন দুপুরে চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আবেদন করলেন বনদপ্তরের কাছে যাতে ওই এইচ এফসি (হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার লিমিটেড) এলাকায় গিয়ে দেখুক এই গাছগুলি কোথায় গেল। তার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করলেন। তারই সাথে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেন ওই জায়গাটি দ্রুত হস্তান্তর করা হোক। তা না হলে বর্তমান এইচএফসির কারখানার জিএম যে উদ্যোগ নিয়েছেন আগামী দিনে ওই জায়গা নদীর সঙ্গে মিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করবে না। বন্ধ কারখানার ভেতর থেকে  বাম্পারে করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে মাটি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন প্রদীপ।

No comments