ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন মরিয়া হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি- অভিষেক
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন মরিয়া হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না তারা। ইডি, সিবিআই, এনআইএ’র …
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন মরিয়া হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি- অভিষেক
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন মরিয়া হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না তারা। ইডি, সিবিআই, এনআইএ’র পর এবার সেই কাজে নেমে পড়ল আয়কর দপ্তর! টার্গেট তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। রবিবার তাঁর কপ্টারে তল্লাশি চালায় ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। যদিও সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিষেক। আয়কর দপ্তরের তরফেও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থার এমন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে যথারীতি সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। তাদের সাফ বক্তব্য, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বাংলার মাটিতে কোনও লাভ হবে না বিজেপির।
আজ, সোমবার তমলুক ও হলদিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার জন্য বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল কপ্টার। সেখানেই এদিন তল্লাশি চালান আয়কর দপ্তরের অফিসাররা। তৃণমূলের অভিযোগ, তল্লাশির সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা দেওয়া হয়। সবক’টি ব্যাগ খুলে দেখা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা এসবের কারণ জানতে চাইলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আয়কর কর্তারা। অভিযোগ, কপ্টারটি আটক করার হুমকি দেন তাঁরা। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশির ভিডিও করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী, রেকর্ড করা ভিডিওগুলি ডিলিট করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অভিষেক। তিনি লেখেন, ‘এনআইএ’র ডিজি ও এসপিকে সরানোর নামগন্ধ নেই। অথচ বিজেপি ও ইলেকশন কমিশন আয়কর দপ্তরের কিছু চাটুকারকে আমার চপার এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সার্চ করার জন্য পাঠিয়েছে। তারা সেখানে কিছুই পায়নি। জমিদাররা তাদের সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু বাংলায় প্রতিরোধের ধারা ফিকে হবে না।’ এরপর একের পর এক তৃণমূল নেতা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন। সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভোটের আর পাঁচ দিন বাকি। সেখানে একজন প্রার্থীর প্রচার আটকাতে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ নির্লজ্জভাবে আয়করকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নির্বাচন কমিশনও চিরাচরিত রীতি মেনে সেই ব্যক্তিদেরই সেবা করে চলেছে, যাঁরা তাঁদের হাত ধরে নিযুক্ত করেছেন। তাই অন্ধ হয়ে আছে কমিশন।’ তৃণমূল এমপি ডেরেক ও’ ব্রায়েনের কটাক্ষ, ‘যারা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তারা কপ্টারে কি ফলমূল আর মাছের স্যান্ডউইচ খুঁজে পেল?’
তল্লাশির বিষয়ে আয়কর দপ্তর সরকারিভাবে কিছু না বললেও সেখানকার কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভোটের সময় নগদ টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখাই তাদের কাজ। সেই ‘রুটিন কাজ’ই করতে গিয়েছিল দপ্তর। সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো এমন তল্লাশি সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে তৃণমূল এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারত না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলের বাইরে থাকতেন না।’
*আরো নিত্য নতুন আপডেট খবর দেখতে
আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন*
WhatsApp channel link - https://whatsapp.com/channel/0029VaCqqNUGk1FyEgWxaZ2r
No comments