Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্ষতি করে দেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকার চাষাবাদ

ক্ষতি করে দেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকার চাষাবাদমধ্যযুগীয় বর্বরতা আজও অব্যহত। ক্ষতি করে দেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকার চাষাবাদ। তার সাথে চাষের জমির জল বন্ধ, এলাকায় মেলা মেশা বন্ধ, সমস্ত অনুষ্ঠানেও সামাজিক বয়কট করে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠ…

 


ক্ষতি করে দেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকার চাষাবাদ

মধ্যযুগীয় বর্বরতা আজও অব্যহত। ক্ষতি করে দেওয়া হলো কয়েক লক্ষ টাকার চাষাবাদ। তার সাথে চাষের জমির জল বন্ধ, এলাকায় মেলা মেশা বন্ধ, সমস্ত অনুষ্ঠানেও সামাজিক বয়কট করে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠলো এগরায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের নরাজপুর গ্রামে। গত ২০২৩ সালের ৫ই অগাস্ট নরাজপুরের বাসিন্দা ভবানী খাঁড়া নামের এক বৃদ্ধা শারীরিক অসুস্থতার জেরে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল বৃদ্ধার ছেলে মনোরঞ্জন খাঁড়া ও বৌমা সৌদামিনি খাঁড়া চক্রান্ত করে ঐ বৃদ্ধাকে প্রাণে মেরে ফেলে। স্থানীয় গ্রাম কমিটির বেশ কয়েকজন মাতব্বর জোর করে বৃদ্ধার ছেলে ও বৌমাকে গ্রাম কমিটির নামে জায়গা সম্পত্তি  লিখে দেওয়ার জন্য শারীরিক  নির্যাতন ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। কিন্তু  তাতে  রাজি না  হলে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এরপরে এগরা থানা ও এগরা ২ ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় মনোরঞ্জন। অবশেষে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অব্দি। কিন্তু 

হাইকোর্টের নির্দেশে মনোরঞ্জনের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল   রাত প্রায় দশ'টা নাগাদ নরাজপুর গ্রামের মাতব্বর ও দুষ্কৃতীরা প্রায় ৬ বিঘা বাদাম চাষের জমিতে বিষ প্রযোগ করে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের  ফসল নষ্ট করে দেয় বলে দাবি অভিযোগকারীর। মৃতার বৌমা সৌদামিনি খাঁড়া অভিযোগ করে বলেন, এলাকার দুষ্কৃতীরা ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এখন আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা খাবো কি? আত্মহত্যা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো রাস্তা নাই। পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বার বার এই ঘটনা কি করে ঘটছে সেবিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি।

No comments