১৩২টি ছোট ও মাঝারি সেতু তৈরির টার্গেট নিয়েছে রাজ্য সরকার
নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় এখন কোনও নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভোট মিটলেই যেসব কাজ শুরু হবে, তার প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে চাইছে নবান্ন। বুধবার নবান্ন…
১৩২টি ছোট ও মাঝারি সেতু তৈরির টার্গেট নিয়েছে রাজ্য সরকার
নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় এখন কোনও নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভোট মিটলেই যেসব কাজ শুরু হবে, তার প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে চাইছে নবান্ন। বুধবার নবান্নে পূর্তদপ্তরের আধিকারিক পর্যায়ের একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেতু নির্মাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দু’টি বড় সেতুর পাশাপাশি ১৩২টি ছোট ও মাঝারি সেতু তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছরে সড়ক সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য। পাহাড় থেকে সাগর—রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা নতুন অথবা সংস্কার হয়েছে। সেই তুলনায় সেতু সংস্কার বা নতুন সেতু তৈরির কাজ হয়নি। তাই এ বছর সেতু তৈরিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগতে চাইছে রাজ্য। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাসাগর সেতু এবং ৮০০ কোটি টাকা খরচে শিল্প সেতু তৈরি ছাড়াও প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে ছোট ও মাঝারি সেতু নির্মাণ করতে। এর মধ্যে ৪২টি সেতু তৈরি করার কথা রয়েছে পূর্তদপ্তরের। বাকি ৯০টি করবে পূর্তদপ্তরের সড়ক শাখা বা পিডব্লুডি (রোডস)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কালনার সঙ্গে শান্তিপুরের সংযোগকারী সেতু, তেহট্টে জলঙ্গী নদীর উপর সেতু এবং মুর্শিদাবাদে বাবলা নদীর উপর লোহাদহ ঘাট সেতু। এছাড়া, পাহাড় সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তৈরি একাধিক সেতু। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও তৈরি হবে একটি সেতু।
রাজ্যের আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগেই পূর্তদপ্তরের অধীনে থাকা রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্বল সেতুগুলির জায়গায় নতুন সেতু হবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সংযোগকারী রাস্তা অনেক চওড়া আর সেতু যথেষ্ট সঙ্কীর্ণ। সেসব ক্ষেত্রে সেতু আরও চওড়া করা হবে। এই প্রেক্ষিতে কোন কোন সেতুর কাজ চলতি অর্থবর্ষেই শুরু করা যবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে ওই বৈঠকে।
No comments