Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নোটের বদলে ভোট! রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করাও

নোটের বদলে ভোট! রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করাওনোটের বদলে ভোট! রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করাও। ঘুষ নিয়ে সংসদ বা বিধানসভায় অন্য দলের হয়ে ভোট কিংবা বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এখন থেকে আর মিলবে না কোনও রক্ষাকবচ। সংশ্লিষ্ট এমপি-এমএলএদ…

 



নোটের বদলে ভোট! রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করাও

নোটের বদলে ভোট! রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করাও। ঘুষ নিয়ে সংসদ বা বিধানসভায় অন্য দলের হয়ে ভোট কিংবা বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এখন থেকে আর মিলবে না কোনও রক্ষাকবচ। সংশ্লিষ্ট এমপি-এমএলএদের বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা। নরসিমা রাও মামলার রায় খারিজ করে সোমবার একথা সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। কিছুদিন আগেই হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভা নির্বাচন চলাকালীন ব্যাপক ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি কোনও বিধায়ক রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ঘুষ নিয়ে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে পদক্ষেপ করা যেতে পারে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘স্বাগতম। সুপ্রিম কোর্টের এই মহান রায়ে রাজনীতির স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা বাড়বে।’

এদিন সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও রক্ষাকবচ দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। জনপ্রতিনিধিরা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, তার জন্য ওই দুই ধারায় আইনি ছাড় দেওয়া হয়েছে। সাংসদ ও বিধায়কদের এহেন আইনি রক্ষাকবচ বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে। তার বছর দুয়েক আগে এককভাবে ম্যাজিক ফিগার না পেয়েও কেন্দ্রে জোট করে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী হন পি ভি নরসিমা রাও। সেই সরকারের বিরুদ্ধে ওই জুলাই মাসে আনা হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব। মাত্র ১৪টি ভোটের (পক্ষে ২৬৫, বিপক্ষে ২৫১) ব্যবধানে সেবার বেঁচে যায় নরসিমা রাওয়ের গদি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অভিযোগ ওঠে— টাকার বিনিময়ে নরসিমা সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ছয় সাংসদ। অভিযুক্ত তালিকায় ছিলেন স্বয়ং শিবু সোরেন। ১৯৯৪ সালেই এ নিয়ে দায়ের হয় মামলা। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেয়, এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে সাংসদ বা বিধায়করা আইনি রক্ষাকবচ পাবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না। যদিও সেই রায় সর্বসম্মত ছিল না।

২০১২ সালে শিবু সোরেনের পুত্রবধূ সীতার বিরুদ্ধে রাজ্যসভা নির্বাচনে ঘুষ নিয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তিনিও ১৯৯৮ সালের রায়ের ভিত্তিতে আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত গত বছর সেপ্টেম্বরে ১৯৯৮ সালের রায় পুনর্বিবেচনায় সম্মতি দেয় শীর্ষ আদালত। এদিন সেই মামলার রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পি ভি নরসিমার ক্ষেত্রে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে আমরা একমত নই। ওই রায়ের পর অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে আইনপ্রণেতা ঘুষ নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত না। অথচ যিনি স্বাধীনভাবে ভোট দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। ঘুষকে কোনওভাবেই সংসদীয় অধিকার দিয়ে ঢাকা যায় না। জনপ্রতিনিধিরা ঘুষ কিংবা দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তা সংসদীয় গণতন্ত্রকেও ধ্বংস করে।’

No comments