শিল্পতালুকে গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। ১২ই মার্চ …
শিল্পতালুকে গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। ১২ই মার্চ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি স্পষ্ট স্থাপন হল উপস্থিত ছিলেন গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন সাংসদ হলদিয়া আই কেয়ার চেয়ারম্যান লক্ষ্মণ শেঠ উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সম্পাদিকা মানসী দে শেঠ ছিলেন হলদিয়া আই কেয়ারের সম্পাদক আসিস লাহিড়ী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত,১২ মার্চ কল্পনা ও স্বপ্নকে তিনি নামিয়ে এনেছেন বাস্তবের কঠিন মাটিতে। রাজনীতির মানুষ হয়েও তিনি শিক্ষানুরাগী। আধুনিক শিক্ষার বিকাশে তিনি 'বঙ্গের ভগীরথ'। তরুণ প্রজন্মের জন্য এক নতুন ভুবন গড়ার এক কারিগর। নতুন প্রকরণ, নবতম প্রযুক্তি, নতুন ভাবনার জগত তৈরি করতে জীবনের তিন দশকের বেশি সময় ব্যয় করেছেন। হলদিয়া শিল্প নগরী গড়ে তোলার পর সেই নগরীর বিশ্বকর্মাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন একের পর এক। তিনি এখন প্রকৃতই বিশ্বকর্মাদের প্রাণপুরুষ। তরুণ প্রজন্মের জন্য 'নলেজ সিটি' নির্মাণের উদ্যোগি ড: লক্ষ্মণ শেঠ এবার স্কুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই স্কুলে তিনি মানুষ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর অঙ্গীকার, যতদিন বাঁচব, ততদিন মানুষ গড়ে তোলার কাজই করে যাব। তিনি বলেন, এই স্কুলের জন্য জমি খুঁজতে সময় গেছে। তবে চৈতন্যপুরের কাছে রাস্তার পাশের এই জায়গা স্কুলের জন্য উপযুক্ত। ভাল স্কুল তৈরি সহজ কথা নয়। তবে আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে, যেভাবে নলেজ সিটি গড়েছি, সেভাবে স্কুল আমি গড়ে তুলবই। করোনায় বার বার আক্রান্ত হওয়া কিংবা মাঝে মাঝে শারীরিক অসুস্থতা তাঁর মনোবলে এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি। তাই ১১এপ্রিল তাঁর পঁচাত্তরতম জন্মদিনের ঠিক আগে তিনি নিজেই হলদিয়াবাসীর জন্য নতুন এক উপহারের কথা ঘোষণা করলেন। হলদিয়া শহরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থাকলেও লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে ভাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিল না। সেই অভাব পূরণ করবে ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব রিসার্চ এন্ড এডুকেশনের (আইকেয়ার) নতুন ভাবনা 'গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুল'। ১২ মার্চ মঙ্গলবার আইকেয়ারের নতুন স্কুলের শিলান্যাস করেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মানসী দে শেঠ। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আবির্ভাব দিবস পুণ্য দিন বলেই এদিনটিবেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক।ড: লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ। হলদিয়া বন্দর অনলাইন ডিজিটালে জানান ব্রজলালচক-চৈতন্যপুর সড়কে ঠিক চৈতন্যপুর প্রবেশের মুখেই বামদিকে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমিতে এই স্কুল গড়ে তোলা হবে। এখানে নার্সারি থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পঠনপাঠন হবে। শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মানসী দে শেঠ, সেক্রেটারি আশিস লাহিড়ি। এছাড়াও ছিলেন আইকেয়ারের বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপালগণ। মানসী দে শেঠ বলেন, আইকেয়ারের অধীন অনেকগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল গড়ার বিষয়টি আমাদের নতুন উদ্যোগ। আগামীতে এই স্কুলের হাত ধরে অনেকগুলি স্কুল তৈরি করতে পারব। এবার আইকেয়ার প্রাথমিক স্কুল থেকে উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা এক ছাতার তলায় করতে পারবে। এখানে ডে বোর্ডিং স্কুল গড়ে তোলা হবে। আশিস লাহিড়ি বলেন, লক্ষ্মণ শেঠ প্রথমে হলদিয়াকে শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলেন। তারপর শিক্ষানগরী গড়ার কাজে হাত দেন। লক্ষ্মণদারহাত ধরে এরাজ্যে হলদিয়াই শেষ শিল্প নগরী। অনেকদিন ধরেই তাঁর ইচ্ছা ছিল আইকেয়ারের অধীন একটি সিবিএসই বোর্ডের স্কুল চালু করা। তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন, হলদিয়া এবং তমলুকে দুটি স্কুল সিবিএসই বোর্ডের দুটি স্কুল চালু করা। সেটি প্রথমে আপাতত ডে বোর্ডিং হবে, রেসিডেন্সিয়াল করার ভাবনা রয়েছে। রেসিডেন্সিয়াল স্কুল গড়তে বেশি জমি লাগবে। চৈতন্যপুরের স্কুলে সুইমিং, বাস্কেটবল সহ বিভিন্ন খেলাধুলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। ম্যাথস অলিম্পিয়াডের মতো বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ছোট থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্কুলেই। হলদিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, মেডিকেল কলেজ যেমন সারা দেশে নাম করেছে, গৌতম বুদ্ধ মিশন স্কুলও নাম করবে। লক্ষ্মণদার নেতৃত্বে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে উঠেছে তার গুণমান নিয়ে বরাবরই তিনি খুবই সচেতন। তেমনভাবেই স্কুল গড়ে উঠবে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এলাকার যেমন শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, একইভাবে স্কুল গড়ে উঠলেও হলদিয়ার গ্রামীণ এলাকার বিকাশ হবে।
No comments