হলদি নদীর উপর হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সংযোগকারী ব্রিজ ! আড়াই বছর বাদে সরকারি জনসভায় এসে আবারও সেই ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রীলোকসভা ভোটের আগে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে একগুচ্ছ মেগা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ…
হলদি নদীর উপর হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সংযোগকারী ব্রিজ ! আড়াই বছর বাদে সরকারি জনসভায় এসে আবারও সেই ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
লোকসভা ভোটের আগে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে একগুচ্ছ মেগা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়া বন্দর অনলাইন ডিজিটাল , নন্দীগ্রাম বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে হলদি নদীর উপর হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সংযোগকারী ব্রিজের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেসময় কথা দিয়েছিলেন। আড়াই বছর বাদে সরকারি জনসভায় এসে আবারও সেই ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমরা এই ব্রিজ করব। পাশাপাশি ২৫হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তাজপুর গভীর বন্দর তৈরি হবে। সেখানে প্রায় ২৫হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।
এদিন তমলুকের সরকারি সভা থেকে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন। সেইসঙ্গে আগামী দিনে রাজ্য সরকার ওই প্রকল্প হাতে নেবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। ওই প্রকল্প রূপায়ণ হলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হবে। সেই প্রসঙ্গ এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আর কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না। আস্তে আস্তে আমরাই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করে দেব। ১২বছর ধরে দয়া চেয়েছি। একটা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করতে পারে না। ওদের লজ্জা থাকা উচিত। দেব আমাকে বারবার এই প্রকল্পের কথা বলেছে।
এদিন হলদিয়া শিল্পাঞ্চল সহ গোটা জেলায় গত ১২বছরে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কয়েক বছরে হলদিয়ায় ১৭হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তাতে এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শিল্পশহরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার হয়েছে। জেলায় আরও পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার তৈরি হচ্ছে। হলদিয়ায় আইটি পার্ক, দীঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন এবং তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হবে। জেলায় ২৫হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পের ইউনিট গড়ে উঠেছে। তাতে এক লক্ষ ১২হাজার মানুষ কর্মরত। কাঁথিতে কাজুবাদাম, পটাশপুর-২ ব্লকে কাঁসা-পিতল, চণ্ডীপুরে পটচিত্র, কোলাঘাটে মোষের সিংয়ের তৈরি জিনিসপত্রের ক্লাস্টার সহ অনেক ক্ষুদ্রশিল্পের ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীঘাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। দীঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভ তৈরি হয়েছে। দীঘা গেট তৈরি হয়েছে। বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সম উচ্চতায় দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষের মুখে। বিরাট এলাকাজুড়ে ভোগঘর, মাসির বাড়ি গড়ে উঠছে। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি চলে এসেছে। উদ্বোধনের সময় মন্দিরে বসানো হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যান। তাঁরা অন্তত একবার দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে আসবেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৪০০কোটি টাকা ব্যয়ে নন্দীগ্রাম-১ ও ২, নন্দকুমার এবং চণ্ডীপুর ব্লকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্প এবছরই শেষ হবে।
No comments