Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জাতীয় সড়কের ধারে বহু হোটেলে চলছে আসামাজিক কাজ

জাতীয় সড়কের ধারে বহু হোটেলে চলছে আসামাজিক কাজচিচিং ফাঁক। এই জাদু শব্দে ডাকাতদের গুপ্তধনের গোপন আস্তানায় পৌঁছেছিলেন আলিবাবা। মণিমাণিক্য দেখে আক্কেল গুডুম হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। মহিষাদলে ৪১ নম্বর (১১৬) জাতীয় সড়কের ধারে রাজারামপুর বট…

 




 জাতীয় সড়কের ধারে বহু হোটেলে চলছে আসামাজিক কাজ

চিচিং ফাঁক। এই জাদু শব্দে ডাকাতদের গুপ্তধনের গোপন আস্তানায় পৌঁছেছিলেন আলিবাবা। মণিমাণিক্য দেখে আক্কেল গুডুম হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। মহিষাদলে ৪১ নম্বর (১১৬) জাতীয় সড়কের ধারে রাজারামপুর বটতলা অনেকটা সেই আরব্য রজনীর গল্পের মতোই। জাতীয় সড়কের দু'ধারে ছোট-বড় অনেক হোটেল। বেশিরভাগেরই সামনের দিকে গেট বন্ধ। কোনওটার সামনের দিকে লতানো গাছ গজিয়ে উঠেছে। রাস্তার ধারে ত্রিপল খাটানো ছোট ছোট মাচা। খালি গায়ে সেখানে দু'-তিনজন করে বসে আছে। সেই মাচার সামনেই উঁকিঝুঁকি কলেজ পড়ুয়া থেকে মাঝবয়সিদের। দরদাম চূড়ান্ত হলেই চলে যাচ্ছে পিছনের দরজা দিকে। বাইরে থেকে হানাবাড়ি মনে হলেও অন্দরসাজ দেখে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। এখানে অবশ্য সোনাদানা ঠাসা নেই। সেখানে কিশোরী, যুবতীদের ভিড়। অধিকাংশই সীমান্ত এলাকার।

কাপাসএড়িয়া সংলগ্ন রাজারামপুর বটতলায় এইসব হোটেলে শুধু দেহ ব্যবসা হয় না, চলে চোরাই সোনা এবং মাদক কারবার। এলাকাটি দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হলদিয়া থেকে একটি বেসরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্র ওই জায়গার হোটেলে ঢুকেছিল। তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ছাত্ররা স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রতিবাদ করায় রক্তারক্তি কাণ্ড বাধে। ২০০৭ সালে রাজারামপুর বটতলায় হোটেলে অসামাজিক কাজকর্ম নিয়ে অশান্তি ছড়ায়। সেই অশান্তি থামাতে গিয়ে মহিষাদল থানার এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়ে

মারা গিয়েছিলেন। সার্ভিস বন্দুক কেড়ে তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই প্রায় সব হোটেলে তালা ঝোলে। ২০১৩ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে জাতীয় সড়কের দু'ধারে ফের সেইসব হোটেলে পিছনের গেট খুলে শুরু হয় দেহ ব্যবসা। অভিযোগ, হাসনাবাদ, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ সহ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা যুবতীদের ভিড় বাড়ছে ওইসব হোটেলে। কাজের টোপ দিয়ে কিশোরীদের এনে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়। অনেকে বিষয়টি জানার পরই ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের চেষ্টায় এরকম কয়েকজনকে উদ্ধারও করা হয়।

জাতীয় সড়কের দু'ধারে রয়েছে ২২টি হোটেল। প্রতিটির সামনে ত্রিপল খাটানো বাঁশের মাচা। দিনের বেলায় সেখানে লোকজন বসে ইশারায় খদ্দের ডেকে দরদাম ফাইনাল করে। সন্ধ্যার পর তাঁরাই টর্চের আলো জ্বেলে খদ্দের ডেকে নেন। কিছুটা দূরে থাকে পুলিসের টহলদারি ভ্যান। গড়কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুর বুথ থেকে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আব্দুল মজিদ বলেন, কয়েকদিন আগে হাইরোডে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকা মুখে টর্চ মেরে ইশারা। এই নোংরামি বন্ধ হওয়া উচিত। স্থানীয় কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ হোসেন ও ইটামগরার বাসিন্দা শেখ রুহুল আমিন বলেন, প্রতি মাসে হোটেল পিছু ৬০-৮০হাজার টাকা কমিশন দিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে।

মহিষাদলের ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, রাজারামপুরে অসামাজিক কাজকর্ম আটকাতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ নেব। এর আগে বেশ কয়েকটি এরকম পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে।

No comments