অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে
এপ্রিল মাস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্য…
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে
এপ্রিল মাস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের বেতন বা মাসিক ভাতা যথাক্রমে ৭৫০ ও ৫০০ টাকা করে বাড়ছে। আশা কর্মীদের ভাতা বাড়ছে ৭৫০ টাকা। পরে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। খুশির খবর দিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন নারী, শিশু, সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ২ লক্ষের বেশি কর্মী ও সহায়িকা এবং ৭০ হাজার আশা কর্মী এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন। সব মিলিয়ে উপকৃতের সংখ্যাটা প্রায় তিন লক্ষ।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে মূলত প্রসূতি ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন আশা কর্মীরা। এতদিন তাঁদের মূল ভাতা ছিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা। মূল ভাতার বাইরে বিভিন্ন কাজের জন্য উৎসাহভাতা বা ইনসেনটিভ পান তাঁরা। রাজ্যে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে কর্মী ও সহায়িকা কাজ করেন। কিছু পদ শূন্য থাকায় এখন ২ লক্ষের কিছু বেশি কর্মী ও সহায়িকা আছেন। অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের খরচের ৬০ শতাংশ কেন্দ্র ও ৪০ শতাংশ রাজ্য বহন করে। এর বাইরে কর্মী ও সহায়িকাদের ভাতার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দেয় রাজ্য। এতদিন কর্মীদের রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ৩৭৫০ টাকা দিত। সেটা এপ্রিল থেকে ৭৫০ টাকা করে বাড়ছে। সহায়িকাদের রাজ্য অতিরিক্ত ৪০৫০ টাকা দিত। তা আরও ৫০০ টাকা বেড়েছে। এই বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনকারী কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এসইউসিআই দলের রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সম্ভবত শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল এদিন। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেখানে। নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন পেয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিশেষ পোর্টালে এখনও পর্যন্ত ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া, সিনিয়র নার্সদের চিকিৎসক-সহায়ক হিসেবে কাজে লাগানোর কথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তাও মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে এদিন। জয়েন্ট নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট পদে থাকা ৩২৪ জন নার্সকে চিকিৎসক-সহায়ক হিসেবে উন্নীত করা হবে। এদিন যে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা হল, তাঁরা প্রত্যেকেই মহিলা। প্রসঙ্গত, আজ, বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগের দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
No comments