Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২৮৩ বছরে পড়ল শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর পঞ্চমীর দোল উৎসব

২৮৩ বছরে পড়ল  শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর পঞ্চমীর দোল উৎসবশুক্রবার ২৯-৩০ শে মার্চ দুই দিনের শুরু হল বাড় উত্তর হিংলীর অধিকারী পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন পঞ্চমীর  দোল উৎসব। ২৮৩ বছরে পড়ল এই দোল উৎসবের আগের দিন  চতুর্থীর চাঁদ উঠার পর ব…

 




২৮৩ বছরে পড়ল  শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর পঞ্চমীর দোল উৎসব

শুক্রবার ২৯-৩০ শে মার্চ দুই দিনের শুরু হল বাড় উত্তর হিংলীর অধিকারী পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন পঞ্চমীর  দোল উৎসব। ২৮৩ বছরে পড়ল এই দোল উৎসবের আগের দিন  চতুর্থীর চাঁদ উঠার পর বিগ্রঘ মন্দির থেকে বড় রুপার ছাতা মাথায় দিয়ে চাচরিতে যায়। শ্রী শ্রী ৺মদন চাঁদ জিউর দোল উৎসবকে ঘিরে মাতোয়ারা বাড় উত্তর হিংলী আশপাশের গ্রামের মানুষ দোল দেখতে ভিড় করেন। দলের আগেই সকাল থেকে বহু ভক্ত আসেন প্রসাদের জন্য প্রায় দুই হাজার ভক্ত বসে প্রসাদ গ্রহণ করেন। বহু ভক্ত কীর্তন দলের নাচে মেতে ওঠেন।  দেখতে আশপাশের গ্রাম তো বটেই, শিল্পশহর হলদিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর দিঘা কাঁথি কলিকাতা থেকেও প্রাচীন দোল উৎসব দেখতে ছুটে আসেন বহু মানুষ। সুসজ্জিত মদন চাঁদ  জিউকে নিয়ে দোলের বর্ণময় শোভাযাত্রায় দেখতে ভিড় হয় কয়েক হাজার মানুষের। দোল উপলক্ষে ইতিমধ্যে গ্রামীন মেলাও শুরু হয়। করোনা ও লকডাউনের ঠিক আগেই শেষবার ধুমধাম করে দোল হয়েছিল। কোভিড লকডাউন কে উপেক্ষা করেও মদন চাঁদ জীউও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভক্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতেন। সারাবছর মদনচাঁদ জীউ ভক্তদের বাড়ি বাড়ি থাকেন কেবলমাত্র দোল উৎসবের সময় তিনি মন্দিরে একদিন থাকেন এবং ভৈরব বাবাজির সমাধি স্থানে জান। সেই জন্যই এই দোল উৎসব ধুমধাম করে হয়ে থাকে। দোল উৎসব ছাড়াও জন্ম অষ্টমী নন্দ উৎসবে পূজার্চনা হয়ে থাকে বহু ভক্ত আসেন মন্দিরে।

 বিশেষ সূত্রে জানা যায়,  ১৭৪০ সালে মহিষাদল রাজা ৩৬৫ বিঘা জমি দান করেন, প্রত্যেকদিন এক বিঘা জমির উৎপাদিত ফসলে পূজার্চনা করার জন্য দান করেন। 

প্রসঙ্গত ১৭৪০ সালে স্বপ্ন আদেশে ভৈরব দাস বাবাজী নদীর ধার থেকে মদন চাঁদ কে কুড়িয়ে নিয়ে এসে তালপাতার ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন। ভৈরব বাবাজি মদন চাঁদ জীউর পূজার জন্য ভিক্ষা করে এনে পূজার্চনা করতেন। পৌরাণিক কথা রয়েছে ব্রাহ্মণ বেশে মহিষাদল রাজপরিবারে ভিক্ষার জন্য জান। রাজপরিবারের দারোয়ানরা তাকে চাল ভিক্ষা দিলে তিনি সম্পত্তি বা জায়গা দানের জন্য আবেদন করেন । রাজা ক্ষুব্দ হয়ে রাজদরবার থেকে বাহির করে দেন। তিনি অভিশাপ করেন । রাজ পরিবার ধ্বংস হবে! তিনি রাজ দরবার থেকে চলে আসেন পরবর্তীকালে মহিষাদল রাজ পরিবারের সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন মহিষাদলের রাজমাতা জানকী দেবি খুঁজতে খুঁজতে বাড় উত্তর হিংলি গ্রামে আসেন এবং তাল পাতার কুটিরে মদনচাঁদকে দেখতে পান। সেখানেই তিনি মানৎ করেন তার  রাজ পরিবারের সকলেই সুস্থ হয়ে গেলে তিনি ৩৬৫ বিঘা জমি দান করবেন।

 যাতে প্রতিবিঘা উৎপাদিত ফসল পূজা-অর্চনায় লাগে। দোল উৎসবের সকালে অর্থাৎ আগামীকাল প্রায় ছয়’হাজার ভক্তকে  প্রসাদ হিসাবে সাদা ভাত, ডাল, কুমড়োর ঘণ্ট, চাটনি ও পায়েস  বিচা কলার ছেঁচকি খাওয়ানো পরিকল্পনা রয়েছে। শ্রীশ্রী মদনচাঁদ জিউর সবথেকে প্রিয় বিচা কলার ছেঁচকি। পরিবারের অন্যতম সদস্য জানান নন্দ বাবু ও শংকর, সুশান্ত, শিবপ্রসাদ,সূদর্শন,  তপন অধিকারী , এবং শিখা রাজপণ্ডিত বলেন দোলের দিন সকালে মদনচাঁদ জিউর পরমান্ন সহ বিশেষ ভোগপ্রসাদ খাওয়ানো হয় দর্শনার্থীদের।

 স্থানীয় যুবক শ্রীমন্ত মন্ডল বলেন,  বাড় উত্তর হিংলী পঞ্চমীর দোল ছিল কালীর বাজারে বড় উৎসব। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। কয়েকদিন ধরে কীর্তন, যাত্রাপালা, প্রসাদ বিতরণকে ঘিরে আড়ম্বরের শেষ  হয়। এখনো অনেকেই শতাব্দী প্রাচীন দোল দেখতে আসেন। এখনও পঞ্চমীর দোল দেখতে গ্রামের মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। হলদিয়া বিরামনগর বাসিন্দা রবীন্দ্র নাথ প্রামানিক বলেন নাম শুনেছি কিন্তু আদি মন্দিরে এসে স্বচক্ষে দেখবো এটা ভাবতে পারিনি আশা করি প্রতিবছর এই দিনটিতে  আসব। আফসোস করলেন সাথী,চন্দ্রানী ও কবিতা প্রামাণিক বলেন  অফিসে কাজের জন্য মদন চাঁদ জীউর মন্দিরে গিয়ে স্বচক্ষে বাবাজী কে দর্শন করতে পারলাম না।



নিত্য নতুন খবর পেতে এই চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন

WhatsApp channel link - https://whatsapp.com/channel/0029VaCqqNUGk1FyEgWxaZ2r



No comments