বেজে গেল ভোটযুদ্ধের দামামা। ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ

বেজে গেল ভোটযুদ্ধের দামামা। ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রতীক্ষার অবসান। বেজে গেল ভোটযুদ্ধের দামামা। ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। আজ, শনিবার পূর্ব ঘোষণা মোতাবেকই  দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক কর…

 

বেজে গেল ভোটযুদ্ধের দামামা। ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ

 প্রতীক্ষার অবসান। বেজে গেল ভোটযুদ্ধের দামামা। ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। আজ, শনিবার পূর্ব ঘোষণা মোতাবেকই  দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার। সেখানে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা ১৮তম সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন তিনি। হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইন আপডেট খবর।আসন্ন লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল ২০২৪।  চলবে ১ জুন ২০২৪  পর্যন্ত। দেশজুড়ে ৫৪৩টি আসনে ৭ দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭মে, চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে এবং সপ্তম দফায় ১ জুন।  ভোট গণনা হবে ৪ জুন ২০২৪। আইন মোতাবেক নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে কার্যকর হয়ে গেল আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী ও নেতাদের এই বিধি মেনে চলতে হবে। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই আচরণবিধি জারি থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফাতেই। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার ও উত্তরপ্রদেশেও সাত দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়া মহারাষ্ট্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ৫ দফায়, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে ৪ দফায় ,  ছত্তিশগড় ও অসমে ৩ দফায় ভোট, কর্ণাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা ও মণিপুরে ২ দফায় এবং ২২টি রাজ্যে একদফাতেই ভোটগ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও দুটি আসনও।

এদিন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার জানান, রাজনৈতিক দলগুলিকে নোটিস পাঠানো হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা থাকবে। যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি বজায় থাকে সে দিকেও নজর রাখা হবে। প্রচারের সময় প্রার্থীরা যাতে কোনও ভাবেই সীমা অতিক্রম না করেন, সে দিকেও নজর দিতে হবে প্রার্থীদেরই। কোনও রকম বাজে ভাষার ব্যবহার করা যাবে না। শিশুদের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ভুয়ো খবরের সঙ্গেও লড়াই করবে নির্বাচন কমিশন। রাজীব জানান, কোনও রকম ভুয়ো খবর যাতে না ছড়ায় তার দিকে নজর থাকবে। তার জন্য অনেক ব্যবস্থা থাকছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। কীভাবে ভুয়ো খবরের রমরমার সঙ্গে লড়াই করতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তিনি আরও জানান, দেশজুড়ে ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ওই পর্যবেক্ষকদের কাজ, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দেওয়া। পাশাপাশি সকল ভোটারকে ভোট দিতে আসার জন্য এদিন আবেদনও জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বলেন, লোকসভা ভোটের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘নো ইওর ক্যান্ডিডেট’ নামে নতুন অ্যাপ চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রার্থীদের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।