আমাকে জেতালে দিল্লি থেকে তমলুকের জন্য প্রাপ্য আদায় করে আনব’- দেবাংশু
আমি আপনাদের ঘরের ছেলে। বয়স ২৮। কারও ছেলে, কারও ভাইয়ের মতো। আমাকে জেতালে দিল্লি থেকে তমলুকের জন্য প্রাপ্য আদায় করে আনব’। তমলুকের নিমতৌড়িতে দলের নেতাদের সঙ্গে প্রথ…
আমাকে জেতালে দিল্লি থেকে তমলুকের জন্য প্রাপ্য আদায় করে আনব’- দেবাংশু
আমি আপনাদের ঘরের ছেলে। বয়স ২৮। কারও ছেলে, কারও ভাইয়ের মতো। আমাকে জেতালে দিল্লি থেকে তমলুকের জন্য প্রাপ্য আদায় করে আনব’। তমলুকের নিমতৌড়িতে দলের নেতাদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রথম দফায় দলের জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। তারপর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য, ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি হন দেবাংশু। এই পর্বে দলের নেতাদের তিনি বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করলে আমাদের জয় হবেই।
বুধবার দুপুরে তমলুকে বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তমলুক শহর থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী মন্দির চত্বরে ভিড় করেন। প্রার্থীকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে ছিলেন। পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু বলেন, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ যেন সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেন। মা যদি মনে করেন, আমি তাঁদের জন্য ভালো কাজ করতে পারব, তাহলে আমাকে জেতাবেন। তা না হলে অন্য কাউকে জেতাবেন। মা বর্গভীমাকে বলেছি, এই দায়িত্ব তোমার।
মন্দির থেকে তৃণমূল প্রার্থী নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে হাজির হন। সেখানে দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটির চেয়ারপার্সনের মুখোমুখি হন দেবাংশু। প্রার্থী ঘোষণার পর এই প্রথম তিনি তমলুক লোকসভার নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি হলেন। প্রত্যেককে বলার সুযোগ দেন। এই পর্বে ভোটকুশলীর টিমকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। তারপর রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বৈঠকে জানান, তিনি শুধুমাত্র নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাইরের এলাকায় তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।
এদিন নিমতৌড়িতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দু’দিন আগেও বিচারপতি ছিলেন। আজকে তিনি রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। কোনওদিন মুড স্যুইং করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। মানুষ তাঁকে ভোট দিলে কপাল চাপড়াতে হতে পারে। অন্যদিকে, আমাকে নির্বাচিত করলে পাঁচটা বছর তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ আমাকে পাবেন। আমি ফ্যান্সি দুনিয়া থেকে রাজনীতিতে আসিনি। হুট করে রাজনীতি আসিনি। সেভাবে আমার মুডও পরিবর্তন হবে না। তাই মানুষ আমাকে পাবেন। এবার মানুষের সিদ্ধান্ত, তাঁরা কাকে চাইবেন।
No comments