Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির দাবি মহিষাদলবাসীর

মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির দাবি মহিষাদলবাসীর খাতায় কলমে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাস্তবে একটিও ইট গাঁথা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে মহিষাদল রাজ কলেজের নবনির্মিত ভবনে। মহিষাদলে…

 




মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তৈরির দাবি মহিষাদলবাসীর

 খাতায় কলমে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাস্তবে একটিও ইট গাঁথা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে মহিষাদল রাজ কলেজের নবনির্মিত ভবনে। মহিষাদলের কাপাসএড়্যায় ৪১নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১০একর জমিতে ইউনিভার্সিটির বিল্ডিং হওয়ার কথা। ২০১৯সাল নাগাদ বাউন্ডারি ওয়াল এবং দু’টি গেট তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু, ভবন নির্মাণের কোনও কাজ শুরু হয়নি। ২০কোটি টাকা ব্যয়ে মাটির তলায় অ্যাকাডেমিক ভবনের ভিত স্থাপন হয়েছে। গত দু’-তিন বছর ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই জমি। শুধু বাউন্ডারি ওয়াল আর জোড়া গেট ছাড়া কিছু নেই। অথচ, ২০২১-’২২সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মাটির উপর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভায় তমলুকে আসছেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরির বিষয়ে ঘোষণা করবেন বলে আশাবাদী মহিষাদলবাসী।

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি দীর্ঘদিনের। মুখ্যমন্ত্রী ওই ইউনিভার্সিটি তৈরির জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগী হন। মহিষাদলের কাপাসএড়্যায় জাতীয় সড়কের ধারে ইউনিভার্সিটি তৈরির জন্য হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা থেকে ১০একর জমি দেওয়া হয়। ২০১৯সাল থেকে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজ ভীষণ ব্যাহত হয়। তারপর ঠিকাদার সংস্থা পেমেন্ট না পেয়ে কাজ ছেড়ে চলে যায়। এখন মহিষাদল রাজ কলেজের নবনির্মিত ছ’তলা বিল্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই চাইছেন, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় ভবন তৈরি হোক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকেই পঠনপাঠন শুরু হোক। ওই ইউনিভার্সিটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত ডিগ্রি কলেজ তার অধীনে চলে আসবে।

২০২০সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে। এই মুহূর্তে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অঙ্কের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ানো হয়। একমাত্র উপাচার্য ছাড়া পূর্ণ সময়ের কোনও অধ্যাপক নেই। গেস্ট টিচার দিয়ে ক্লাস চলছে। নিজস্ব বিল্ডিং না থাকায় সাবজেক্টও বাড়ানো যাচ্ছে না। ২০কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশাসনিক ভবনের ফাউন্ডেশন তৈরি হয়। সেই টাকা ঠিকাদার সংস্থাকে পেমেন্ট করে দেওয়ার পর তারা কাজ ছেড়ে চলে যায়। ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার সৈয়দ মর্তুজ আলি বলেন, আমরা ভিত্তিস্থাপন বাবদ ২০কোটি টাকা পেয়েছি। তারপর ওই ভবন তৈরির জন্য কোনও টাকা না থাকায় কাজ হবে না বলে পূর্তদপ্তর আমাদের জানিয়ে দেয়। তারপর আমরা কাজ ছেড়ে দিই।

স্থানীয় কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেদ এবং শ্রীমন্ত দাসঅধিকারী বলেন, এই ভবন তৈরি হলে পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হবে। সাবজেক্ট সংখ্যা বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীরা এখান থেকে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। সরকারি গড়িমসির কারণে এই ভবনের কাজ ঝুলে রয়েছে। আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে ভবন তৈরির কথা ঘোষণা করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিভ্রাজভূষণ ফরিদা বলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তর গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। করোনার সময় থেকে কাজ আটকে রয়েছে। ভবন নির্মাণ হলে অনেক সুবিধা হবে।  মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের দাবি জোরালো হচ্ছে।


No comments