Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নয়া সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি

নয়া সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি
এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি। বুধবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বহু আগে…

 


নয়া সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি


এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি। বুধবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বহু আগে ঘোষণা করা হলেও সিলেবাস ও মডেল প্রশ্নপত্র তৈরি এবং সরকারি অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়াটি চলছিল। অবশেষে এদিন শিক্ষাদপ্তরের অনুমতি মেলায় স্কুলগুলিকে তা জানিয়ে দিলেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। অর্থাৎ, এবছর যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তাদের একটি শিক্ষাবর্ষে দু’বার পরীক্ষা দিতে হবে। একটি পরীক্ষা হবে নভেম্বরে, অন্যটি হবে মার্চ নাগাদ।

আপাতত সেমেস্টার চালুর ঘোষণা হলেও সেমেস্টার ভিত্তিক পাঠ্যক্রম, ক্লাস বিন্যাস এবং নম্বর বিভাজন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সেটা খুব তাড়াতাড়ি করা হবে। এই প্রসঙ্গে সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, ইভেন বা জোড় সেমেস্টারে শর্ট আনসার টাইপ (এসএকিউ) এবং ডেস্ক্রিপটিভ আনসার টাইপ (ডিএকিউ) প্রশ্ন থাকবে। আর অড অর্থাৎ বিজোড় সেমেস্টারে থাকবে স্রেফ মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন (এমসিকিউ)। কোন সেমেস্টারে কত নম্বর থাকবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তার জন্য প্রকাশকদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। বৃত্তিমূলক বিষয়গুলিও বিবেচনায় থাকবে। তবে, নভেম্বর এবং মার্চে দু’টি পরীক্ষা হবে। আর প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্ট হবে বছরে একবারই।

জানা যাচ্ছে, রাজ্যের ছেলেমেয়েদের মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা নিট এবং জেইই (মেইন)-এ আরও বেশি সাফল্যের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে বিজ্ঞান শাখার ছাত্রছাত্রীরাও ফিজিক্যাল এডুকেশন বিষয়টি ঐচ্ছিক হিসেবে নিতে পারবে। রাজস্থানের কোটায় বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা এই কৌশল অবলম্বন করে থাকে। নিটে গণিত আবশ্যিক নয়। তার পরিবর্তে ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে থাকে এই ছাত্রছাত্রীরা। তিনমাসেই এর সিলেবাস শেষ করে ফেলে তারা। ফিজিক্সের জন্য যেটুকু গণিতের প্রয়োজন, সেটুকুই চর্চা করে তারা। বছরের বাকি সময়ে অন্য তিনটি বিষয়ের পড়াশোনা করে তারা। জেইই মেইনের ক্ষেত্রে বিষয়টি গণিতের পরিবর্তে হয়ে যায় জীববিদ্যা। তার পরিবর্তে ফিজিক্যাল এডুকেশন নেয় তারা। এতে অন্যান্য বিষয়গুলির জন্য বাড়তি সময় পায় তারা। এবার এরাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও এই সুযোগের দরজা খুলে গেল।

চূড়ান্ত ঘোষণা না-হলেও ঠিক হয়েছে, বিজ্ঞান এবং বৃত্তিমূলক শাখায় ৭০ নম্বর থিওরি এবং ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল হবে। নভেম্বরে ৩৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং মার্চে ৩৫ নম্বরের ছোট ও বড় প্রশ্নের থিওরি পরীক্ষা হবে। কলা বিভাগের ক্ষেত্রে ৮০ নম্বরের থিওরি এবং ২০ নম্বরের প্রজেক্ট থাকবে। সেক্ষেত্রেও ৪০ নম্বর করে দু’টি প্রশ্নে ভাগ হবে পরীক্ষা। আর প্রজেক্ট এবং প্র্যাকটিক্যালও হবে নভেম্বর নাগাদ। বিষয় অনুযায়ী শাখাগুলিতে চারটি সেটে ভাগ করা হয়েছে। কোনও কোনও সেটে দক্ষতা যাচাইমূলক প্রশ্নও আসতে পারে। 

No comments