বিজেপি নেত্রী কে দিনের পর দিন ধ*র্ষন, মা*রধোর ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা
তমলুকে বিজেপি নেত্রী কে দিনের পর দিন ধ*র্ষন, মা*রধোর ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজে…
বিজেপি নেত্রী কে দিনের পর দিন ধ*র্ষন, মা*রধোর ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা
তমলুকে বিজেপি নেত্রী কে দিনের পর দিন ধ*র্ষন, মা*রধোর ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা শঙ্কর জানা, স্বরূপ ভৌমিক ও সমরেশ ধাড়া। এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত দেবকমল দাস, আনন্দ নায়ক, স্মৃতি রানী পাল দাস রা। সূত্রের খবর, ধৃতদের খোঁজে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল ঠিক তখনই গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারি বিজেপির জেলা কমিটির নেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধ*র্ষণ, মারধো*র ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টা সহ ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে বিজেপিরই নেতাদের বিরুদ্ধে। যা ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তমলুক থানায় অভিযোগকারীনি বিজেপি নেত্রী যিনি তমলুক সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সদস্যা তিনি অভিযোগ করেন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন তার সাথে শারী*রিক সম্পর্ক করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস। শুধু তাই নয় তাঁকে মারধ*র সহ প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। এমনকি তাঁর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তার ফোনে থাকা সমস্ত ছবি ও তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হয়।
দেবকমল ছাড়াও তমলুক নগর মন্ডল বিজেপির কোষাধ্যক্ষ আনন্দ নায়ক, দেবকমলের স্ত্রী স্মৃতি রানী পাল দাস সহ একাধিক বিজেপি নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে অত্যা*চার ও প্রাণে মে*রে ফেলার চেষ্টা- হুম*কি দেওয়ার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ওই বিজেপি নেত্রী। বিজেপি মহলে কান পাতলেই শোনা যায় অভিযুক্তরা সকলেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট হিসেবেই জেলায় পরিচিত। বিজেপি নেত্রীর থানায় অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গা ঢাকা দেন সকলেই।
অবশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে গতকাল রাতে পুলিশ ৩ অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আজ তমলুক জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান " এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও বাকিরা প্রত্যেকেই রাজ্যের বাইরে রয়েছেন বলে তাঁদের কাছে খবর। পুলিশের টিম ধৃতদের খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। খুব শীঘ্রই বাকিরা গ্রেফতার হবে।"
No comments