Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সকল প্রার্থীদের আর্জি একটাই, ‘একটু আমায় দেখো!’

সকল প্রার্থীদের আর্জি একটাই, ‘একটু আমায় দেখো!’ভোট বড় বালাই! তাই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক দলের কুশীলব থেকে প্রার্থী সকলেই ছুটছেন মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারে। সকলের আর্জি একটাই, ‘একটু আমায় দেখো!’ কিন…

 


সকল প্রার্থীদের আর্জি একটাই, ‘একটু আমায় দেখো!’

ভোট বড় বালাই! তাই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক দলের কুশীলব থেকে প্রার্থী সকলেই ছুটছেন মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারে। সকলের আর্জি একটাই, ‘একটু আমায় দেখো!’ কিন্তু ভোটের ভগবান তো আম জনতা তথা ভোটার। তাঁরা কাকে দেখবেন, সে তো জানা যাবে আগামী ৪ জুন গণনার দিন। ঘটনাচক্রে আবার প্রথম দফার ভোটের আগেই, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এটি একটি বিরল ঘটনা। কারণ এমনটা আবার দেখা যাবে ১২৬ বছর পর। ভোট শুরুর আগেই গ্রহণের ছায়ায় চিন্তিত অনেক প্রার্থীই। তাঁদের জন্য ভোট সফরে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষী ও শাস্ত্রবিদরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মেনে চলতে বলছেন শুভক্ষণও। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থীরা পরমার্শগুলি মেনে চললেই যে ভালো ফল হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু প্রবাদ বলছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’। ডানপন্থী দলগুলির প্রার্থীরা অবশ্য তিথি দেখেই পা ফেলতে চান।

১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। তার আগেই সূর্যগ্রহণ। ভালো খবর একটাই যে, এটি ভারত থেকে দেখা যাবে না। মধ্য আমেরিকা, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তরভাগ, প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ ভাগ সহ বিশ্বের একাধিক প্রান্তে তা দৃশ্যমান। ভোট পর্বের শুরুতেই এই ঘটনায় কোন রাশির প্রার্থীদের কার উপকার হবে, কার ফল খারাপ হবে, তা নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ ডঃ জয়ন্ত কুশারী বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে প্রার্থীরা সেদিনের অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রক্ষণটা দেখে নিলে ভালো হবে। বারবেলা ও কালবেলা এড়িয়ে চলা শ্রেয়। জন্মদিন, বিবাহের তারিখ শুভ। তবে পরিবারের কারও মৃত্যু হয়েছে বা অঘটন ঘটেছে, এমন দিনে মনোনয়নপত্র জমা না দিলেই ভালো হয়। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকার প্রধান রাজগণক অচিন্ত্য ভট্টাচার্য বলেন, শুভ সময় দেখে পা ফেলাই ভালো প্রার্থীদের। আর চেষ্টা করবেন সাদা পোশাক বেশি পরতে। হাল্কা হলুদ, গোলাপি রঙের জামাকাপড় পরতে পারেন। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গা থেকে পূজার্চনা তো রয়েছেই।

ভোট এলেই দেখা যায়, প্রার্থীরা একটিবারের জন্য হলেও যোগাযোগ করেন পুরোহিত, জ্যোতিষী কিংবা শাস্ত্রবিদদের সঙ্গে। এবারও যে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এপ্রসঙ্গে হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি ধর্মে বিশ্বাসী। শ্রীরামকৃষ্ণ বলে গিয়েছেন যত মত, তত পথ। সেই পথকে আমি ব্রত বলে মনে করি। তাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে গুরুজনদের পরামর্শ নেব।’ কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম অবশ্য এসব মানেন না। তাঁর সাফ কথা, ‘আমি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। বাস্তবে ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে জোর দিই। দল যেদিন বলবে, সেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেব।’

No comments