প্রয়াত গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাসগজলকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। সিনেমা থেকে অ্যালবাম, তাঁর গায়কিতে থমকেছে আসমুদ্রহিমাচল। তিনি যখন গেয়েছেন, বড়ে দিনো কে বাদ, হাম বেওয়াতনো কো ইয়াদ’... প্রবাসী ভাইবোনের জন্য কেঁদ…
প্রয়াত গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাস
গজলকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। সিনেমা থেকে অ্যালবাম, তাঁর গায়কিতে থমকেছে আসমুদ্রহিমাচল। তিনি যখন গেয়েছেন, বড়ে দিনো কে বাদ, হাম বেওয়াতনো কো ইয়াদ’... প্রবাসী ভাইবোনের জন্য কেঁদে উঠেছে ভারতের মন। সোমবার ৭২ বছর বয়সে স্তব্ধ হয়ে গেল সেই মায়াবী কণ্ঠস্বর। প্রয়াত গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাস। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ‘চিঠঠি’ না আসার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। এক মুহূর্ত স্মৃতির সরণিতে চলে গেল তাঁর লাইভ কনসার্ট, অ্যালবাম, সিনেমার গান।
গুণমুগ্ধ শ্রোতাদের টানে বারবার বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছেন তিনি সঙ্গীত পরিবেশনে। ‘চিঠঠি আয়ি হ্যায়’ গানের মধ্য দিয়ে উল্কার গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর জনপ্রিয়তা। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘রিস্তা তেরা মেরা’, ‘চান্দি জ্যাসি রং’, ‘জিয়ে তো জিয়ে’... সহ অসংখ্য গান। জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর ‘নশা’, ‘হামসফর’-এর মতো অ্যালবামও। দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভূষিত করে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে।
বিখ্যাত মানুষদের মধ্যে অনেকেই তাঁর গানের ভক্ত। ‘সাজন’ ছবির ‘জিয়ে তো জিয়ে’ গানের শ্যুট চলছে। সদ্য গানটি শেষ করেছেন শিল্পী পঙ্কজ উধাস। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সলমন খান বলে উঠলেন ‘বাহ!’ এই সংলাপ চিত্রনাট্যে ছিল না। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সুনীল গাভাসকর, শচীন তেন্ডুলকর—তাঁর গানের একনিষ্ঠ ভক্ত। পঙ্কজ বিদায় নিলেও তাঁর সুর ও গায়কি থেকে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে।
No comments