Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনে লড়ার টিকিট। সাথে থাকবে জিতিয়ে দেওয়ার গারেন্টি

মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনে লড়ার টিকিট। সাথে থাকবে জিতিয়ে দেওয়ার গারেন্টি। টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো  বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ৪ মন্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য্য ও এগরা …

 




 মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনে লড়ার টিকিট। সাথে থাকবে জিতিয়ে দেওয়ার গারেন্টি। 

টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো  বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ৪ মন্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য্য ও এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির সিতাংশু জানার বিরুদ্ধে। গত তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকে বিজেপি তুলনামূলক ভালো ফল করেছিল। সেই নির্বাচনে সর্বোদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের গনেস্বরপুরে বুথে তরুণ গিরিকে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সেখানে বিজেপির চাপা গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। সে কারণে তরুণবাবু প্রার্থী হতে রাজি না হওয়ায় মন্ডল সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণকে আশ্বাস দেন ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার গারেন্টি তাঁদের। বিনিময়ে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সেই টাকা আত্মস্যাৎ করে গাদ্দারি করে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনলেন খোদ বিজেপি নেতা তরুণ গিরি। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মন্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শিতাংশু জানা আমার কাছে আসেন এবং আমাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। যেহেতু এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে  প্রথমে আমি দাঁড়াতে রাজি হয়নি। পরে তারা আশ্বাস দেন, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাকেই দলের সবাই সাপোর্ট করবে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমি ওই টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে। আমি দলের উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি বলে দাবি তরুনের। তবে এই ঘটনায় মন্ডল সভাপতি ও ব্লকের সহ সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযুষ কান্তি পন্ডা বলেন, বিজেপির যারা কর্মকর্তা আছেন তারা দলের নাম টাকা তুলে তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ করে। এই দলের কর্মীদের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আসা করা যায়না। বিজেপির উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাঁরা সকলেই চোর। বিজেপিতে সব ভাড়াটে প্লেয়ার আছে, যারা আদর্শবান নেতা ছিল তাঁরা বিজেপি করছে না। তৃণমূলের ছাট, চোর ডাকাতগুলো বিজেপিতে গেছে। বিজেপির ভদ্রলোকেরা ধীরে ধীরে এই দল ছেড়ে দেবে। লোকসভা ভোটের বিজেপি করার জন্য, বিজেপির পতাকা ধরার জন্য একটি লোকও থাকবে বলে কটাক্ষ তৃণমূলের জেলা সভাপতির। কিন্তু মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক অমলেশ পাহাড়ী জানিয়েছেন, বিজেপি অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। বিজেপি এইসমস্ত কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ দেখছেন। এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারবো না।

No comments