Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

June 26, 2025

Weather Location

Popular Posts

Breaking News:

পবিত্র ষটতিলা একাদশীতে ইসকন মন্দিরে বিশেষ কর্মসূচি

পবিত্র ষটতিলা একাদশীতে ইসকন মন্দিরে বিশেষ কর্মসূচি এক বছরে ২৪ টি একাদশী পালন করা হয় এবং মাসে দুবার হয়। এই শুভ দিনে লোকেরা ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করে এবং উপবাস পালন করে। ভক্তরা ভগবান বিষ্ণু মন্দিরে যান এবং ভগবানের আশীর্বাদ…

 



পবিত্র ষটতিলা একাদশীতে ইসকন মন্দিরে বিশেষ কর্মসূচি 

এক বছরে ২৪ টি একাদশী পালন করা হয় এবং মাসে দুবার হয়। এই শুভ দিনে লোকেরা ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করে এবং উপবাস পালন করে। ভক্তরা ভগবান বিষ্ণু মন্দিরে যান এবং ভগবানের আশীর্বাদ চান।আজ ৬ ই ফেব্রুয়ারী পবিত্র ষটতিলা একাদশী ।আজকের দিনে কিন্তু ভুলেও তিল খাবেন না।তাহলে অবশ্যই আপনার একাদশী ভেঙে যাবে।ভগবানকে তিলের তৈরী প্রসাদ নিবেদন করবেন, ব্রাহ্মনকে তিল, বস্ত্র দান করবেন ।মাঘ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী তিথিটি ষটতিলা একাদশী নামে পরিচিত। ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিট থেকে একাদশী তিথি শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৬ ফেব্রুয়ারি উদয়া তিথি মেনে ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এই একাদশী পালিত হয়। এই তিথিতে শুভক্ষণে সমস্ত নিয়ম মেনে বিষ্ণু পুজো করে ষটতিলা একাদশী ব্রত কথা পাঠ করলে সুফল পাওয়া যায়। ষটতিলা একাদশীর মাহাত্ম্য ও ব্রতকথা সম্পর্কে  হলদিয়া ইসকন মন্দির ম্যানেজার  লক্ষ্মীগোবিন্দ দাস তিনি বলেন।ষটতিলা একাদশী মাহাত্ম্য শাস্ত্র অনুযায়ী কৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে এই একাদশীর মাহাত্ম্য় বর্ণনা করেছিলেন। কৃষ্ণ জানান যে, মাঘ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী ষটতিলা বা পাপহারিণী একাদশী নামে প্রসিদ্ধ। এই একাদশী সমস্ত পাপ নাশ করে। এই তিথিতে তিলের তৈরি খাবার খেলে বা তিল ভরতি পাত্র দান করলে অনন্ত পুণ্য ফল লাভ করা যায়। পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে যে, কোনও ব্যক্তি তিল বপন করার পর তার থেকে যত শাখা উৎপন্ন হয়, তত হাজার বর্ষ পর্যন্ত সেই ব্যক্তি স্বর্গ লোকে স্থান লাভ করতে পারে।শাস্ত্র মতে ষটতিলা একাদশী ব্রত করলে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়। পাশাপাশি ব্যক্তি সমস্ত ধরনের পাপ থেকে মুক্তি পায়। কন্যা দান, সহস্র বর্ষের তপস্যা ও স্বর্ণদানের ফলে যে ফল পাওয়া যায়, তার চেয়েও বেশি ফলদায়ী ষটতিলা একাদশী ব্রত পালন করা। পরিবারের উন্নতিতে এই ব্রত সহায়ক। এই একাদশী ব্রত পালন করলে ব্যক্তি বিষ্ণুলোকে গমন করে।

ষটতিলা একাদশী ব্রত কথা

প্রাচীনকালে এক বিধবা ব্রাহ্মণী বাস করতেন। বিষ্ণুর প্রতি তাঁর অটুট শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল। শ্রদ্ধাভক্তি ভরে বিষ্ণুর আরাধনা করতেন তিনি। কিন্তু সেই ব্রাহ্মণী কখনও কাউকে অন্ন দান করতেন না। তাই সেই ব্রাহ্মণীর কল্যাণের জন্য বিষ্ণু স্বয়ং তাঁর কাছে ভিক্ষা চাইতে যান। তখন সেই ব্রাহ্মণী এক মাটির পিণ্ড তুলে বিষ্ণুর হাতে রেখে দেন। সেই পিণ্ড নিয়ে বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ধাম প্রস্থান করে।বয়সকালে সেই ব্রাহ্মণীর মৃত্যু হয়। বিষ্ণুর আরাধনার পুণ্য প্রভাবে সেই ব্রাহ্মণী বৈকুণ্ঠ ধামছ পৌঁছন। সেখানে ব্রাহ্মণীকে বসবাসের জন্য এক কূটির দেওয়া হয়, সেখানে এক আম গাছও ছিল। তবে কূটিরে কোনও খাদ্য বস্তু ছিল না। খালি কূটির দেখে সেই ব্রাহ্মণী হতাশ হন। বিষ্ণুর কাছে গিয়ে ব্রাহ্মণী জিগ্যেস বলেন যে, সারা জীবন তিনি শ্রদ্ধাভক্তি ভরে নারায়ণের পুজো করেছেন। মর্ত্যে এক ধর্মপরায়ণ স্ত্রীর মতো বাস করেছেন। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে খালি কূটির দেওয়া হয়? তখন বিষ্ণু সেই ব্রাহ্মণীকে উত্তর দেন যে তিনি কখনও নিজের জীবদ্দশায় অন্ন দান করেননি। তখন সেই ব্রাহ্মণী নিজের ভুল বুঝতে পারেন। বিষ্ণুকে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জানতে চান। বিষ্ণু বলেন, যখন দেবকন্যা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, সে সময় তিনি যেন তখনই দ্বার খোলেন, যখন তাঁরা ষটতিলা একাদশীর ব্রতর নিয়ম জানায়।বিষ্ণুর কথা মতোই কাজ করেন ব্রাহ্মণী। দেবকন্যাদের কাছ থেকে ষটতিলা একাদশীর নিয়ম জেনে এই ব্রত পালন করেন তিনি। এর পরই সেই ব্রাহ্মণীর কূটির অন্ন ও অর্থে ভরে যায়। তাই এই একাদশী তিথিতে অন্নদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।






No comments