বৌমার সঙ্গে শ্বশুরের অবৈধ সম্পর্ক খুন ১
পারিবারিক সম্পত্তি জেরে বাবার হাতে ছেলে খুন । এই নৃশংস কর্মকাণ্ডে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ তুলে শাস্তির দাবিতে এককাট্টা মৃত ছেলের মা । গত কাল গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক থানা এলাকার ভা…
বৌমার সঙ্গে শ্বশুরের অবৈধ সম্পর্ক খুন ১
পারিবারিক সম্পত্তি জেরে বাবার হাতে ছেলে খুন । এই নৃশংস কর্মকাণ্ডে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ তুলে শাস্তির দাবিতে এককাট্টা মৃত ছেলের মা । গত কাল গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক থানা এলাকার ভাগ্যবন্তপুর গ্রামের ঘটনা । মৃত সেক সাহিব রহমান (২২)। ঘটনার পেছনে শ্বশুর এবং বৌমার অবৈধ সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে ।চাঞ্চল্য এলাকায় । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুর্গাচক থানার পুলিশ ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,২৩ বছর আগে ভাগ্যবন্তপুর গ্রামের সহরবানু বিবির সঙ্গে গ্রামেরই সেক মহম্মদ শরিফের বিয়ে হয় । সাহিব তাঁদের সন্তান । কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে সহরবানুর । ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি । বছর তিনেক আগে সাহিবের বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাবার কাছেই থাকতেন সাহিব । তাদের একটি ছোট্ট কন্যা সন্তানও রয়েছে । কিন্তু সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গোলমাল শুরু হয় । মাঝেমধ্যে তাকে মারধরও করা হত বলে জানা গিয়েছে ।
কিন্তু সংসার চালানোর রসদ জোগাড় করতে সাহেব বাড়ির বাইরে কাজ সূত্রে থাকতেন । মেয়ে অসুস্থ খবর পেয়ে দিন সাতেক আগে বাড়ি ফিরেছেন সাহিব । কিন্তু তার বাবা মহম্মদ শরিফ বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না । গভীর রাতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে তার মাকে ফোন করে জানানো হয় । তবে এই ঘটনায় ছেলের আত্মহত্যার যুক্তি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা সহরবানু বিবি । তিনি অভিযোগ করে বলেন,"বিশেষ সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক অশান্তিত তো ছিলই । পাশাপাশি শ্বশুরের সঙ্গে বউমার অবৈধ সম্পর্ক ছিল । সাহিবের বাড়ি ফিরে আসাটা আমার স্বামী কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না । ওরা ছেলেকে মেরে কড়ি কাঠে ঝুলিয়ে দিয়েছে । আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না ।
" ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর এবং বৌমা দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে । বাকি অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে । মৃত যুবকের মা সহরবানু, তাঁর আত্মীয় পরিজন এবং গ্রামের কিছু মানুষ খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন । এ বিষয়ে হলদিয়ার এসডিপি অরিন্দম অধিকারী জানান,"আমরা খুনের অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অভিযুক্ত দুজনকে হলদিয়া মহকুমার আদালতে তোলা হলে তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। চলছে তদন্তের কাজ ।"
No comments