রটন্তী কালী পুজোসব কালী পুজো অমাবস্যা তিথিতে হলেও , রটন্তী কালী পুজো কিন্তু মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতেই অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড থেকে চতুর্দশী তিথি শুরু হবে এবং এই তিথি শেষ হবে ৯ই ফেব্র…
রটন্তী কালী পুজো
সব কালী পুজো অমাবস্যা তিথিতে হলেও , রটন্তী কালী পুজো কিন্তু মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতেই অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড থেকে চতুর্দশী তিথি শুরু হবে এবং এই তিথি শেষ হবে ৯ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে।।
সেই অনুযায়ী দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আজ রটন্তী মায়ের পুজো
হচ্ছে। এই দিনে এখানে একই সাথে কৃষ্ণ ও মা কালীর পুজো করা হয়। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মা কালীর পুজো তিনবার খুব ধুমধামের সাথে উদযাপিত হয়। জৈষ্ট্য মাসে ফলহারিনী মা কালী , কার্তিক মাসে দীপান্বিতা মা কালী ও মাঘ মাসে এই রটন্তী মা কালীর পুজো।
রটন্তী কথাটির অর্থ হচ্ছে রটে যাওয়া। মায়ের মহিমার কথা চারিদিকে রটেছিল আর সেই থেকে এই পুজোর উত্পত্তি বলে এর নাম হয়েছে রটন্তী কালী পুজো। দিনটি আবার শাক্ত এবং বৈষ্ণব উভয় ধর্মের লোকেদের কাছেই খুব বিশেষ। এই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে চতুর্দশী তিথি যে তিথিতে ভগবান শিবের পুজো করা হয়। তাই শৈব উপাসনায় ব্রত যারা তাদের কাছেও এটি একটি বিশেষ দিন।
ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী দাম্পত্য জীবনের কল্যাণে রটন্তী কালীপুজোর দিন মায়ের বিশেষ আরাধনায় মঙ্গল হয়।
আবার জনশ্রুতি আছে এদিনই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তার সহচরীদের ক্ষিদে মেটানোর জন্যে নিজ মুণ্ডুচ্ছেদ করে ত্রিধারায় রক্তবারি প্রকট করেছিলেন।
আবার পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী যখন শ্রীকৃষ্ণের প্রেমলীলায় রাধা মত্ত ছিলেন সেই সময়ে একদিন দুপুরে গোপীনিরা তাঁর বাঁশির আওয়াজ শুনে চমকে ওঠে বনের দিকে ছুটে গিয়ে দেখলেন সামনে ইষ্টমূর্তি। সেদিন স্মরণ করেই বিশেষ তিথিতে হয় রটন্তী কালী পুজো।
কথিত আছে শ্রীরামকৃষ্ণদেব একবার বলেছিলেন, "রটন্তী কালী পুজোর ভোরে দেখলাম দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় স্বর্গ দেবতারা নেমে এসেছেন স্নান করতে।" সেই কারণে আজও বহু মানুষ দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার তীরে রটন্তীর ভোরে পুণ্যস্নান করতে আসেন। তবে শুধু দক্ষিণেশ্বর নয়, কালীঘাট , তারাপীঠ সহ আরও বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা এদিন সেজে ওঠেন বিশেষ সাজে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে চাঁদনি ঘাটে রোজকার মত বিকাল পাঁচটা থেকে গঙ্গা আরতি হলেও আজ বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত হবে এই আরতি। মন্দির চত্বরে সরোদবাদন এবং শাস্ত্রীয় ও ধর্মীয় সঙ্গীতের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ভোর ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মায়ের পুজো দেওয়া যাবে।
No comments