ভারতের নয়া ইতিহাস ? চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিজয় ধ্বজা উড়িয়ে বিশ্বের শিরোনামে
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিজয় ধ্বজা উড়িয়ে বিশ্বের শিরোনামে এসেছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ মিশনের পর নতুন নতুন সাফল্যের শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় মহাকা…
ভারতের নয়া ইতিহাস ? চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিজয় ধ্বজা উড়িয়ে বিশ্বের শিরোনামে
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিজয় ধ্বজা উড়িয়ে বিশ্বের শিরোনামে এসেছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ মিশনের পর নতুন নতুন সাফল্যের শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত গগনযান মিশনের চার মহাকাশচারীর নাম ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই চারজনই ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ অফিসার। যাঁদের হাজার হাজার ঘন্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন তিনজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার, অজিত কৃষ্ণান ও অঙ্গদ প্রতাপ এবং একজন উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। তবে, ঐতিহাসিক এই মিশনের সাক্ষী হচ্ছেন না কোনও ভারতীয় মহিলা।
এদিন সংক্ষিপ্ত সফরে কেরলের তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রে এসে ওই চারজনের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের হাত ধরে ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন এবং ২০৪০ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ঐতিহাসিক মিশনের জন্য ২০১৯ সাল থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ইসরো। সেইমতো রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের অধীন গ্লাভকসমসের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। মিশনের সাক্ষী হতে একাধিক আবেদনও জমা পড়ে। তারমধ্যে থেকে মাত্র ১২ জনকে বাছাই করা হয়। তাঁদের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে চারজনকে বেছে নেয় ইসরো। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন মহাকাশ কেন্দ্রে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০২৫ সাল নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেবেন তাঁরা। নির্বাচিত প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ারের ৩ হাজার ঘণ্টা, অজিত কৃষ্ণানের ২৯০০ ঘণ্টা এবং অঙ্গদ প্রতাপ ও শুভাংশু শুক্লার ২ হাজার ঘণ্টা করে যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৃথিবীর নিম্নকক্ষে মহাকাশচারীদের পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনদিনের অভিযান শেষে নিরাপদে তাঁদের ভারত মহাসাগরে নামিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষাও সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। গত বছরের অক্টোবরে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠানো হয়। মহাকাশচারীদের মহাশূন্যে পাঠানোর পর কীভাবে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে, তারজন্য এই পরীক্ষা। চারজনকে যে মহাকাশযানে পাঠানো হবে তার নাম লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ (এলভিএম-৩)। ভারতীয় মহাকাশ ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল মিশন হল গগনযান। সব মিলিয়ে ব্যয় করতে হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এদিকে গগনযান অভিযানে কোনও মহিলা পাইলট না থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এপ্রসঙ্গে মোদি বলেন, শুধু চন্দ্রযান কিংবা গগনযান নয়, ইসরোর একাধিক মহাকাশ অভিযানে মহিলাদের অবদান অনস্বীকার্য। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, শীঘ্রই আরও কিছু মিশন চালানো হবে। ভবিষ্যতে মহাকাশচারী হিসেবে মহিলাদেরও নেওয়া হবে।
No comments