Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শনি দেবতার প্রণামঃ-

শনি দেবতার প্রণামঃ-
ওঁ সৌরাষ্ট্রং কাশ্যপং শুদ্রংসুয্যাস্যং চতুরঙ্গলম। কৃষ্ণং কৃষ্ণাম্বরংগৃধ্র- গতং সৌরিং চতুর্ভুজম। তদ্ব দ্বাবর – শুলং ধনু হস্তং সমাহ্বয়েৎ।যমাধিদৈবতং প্রজা – পতিপ্রতধিদৈবতম নমঃ নমঃ।।১ঔঁ ণীলাজ্ঞনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং ম…

 




শনি দেবতার প্রণামঃ-


ওঁ সৌরাষ্ট্রং কাশ্যপং শুদ্রং

সুয্যাস্যং চতুরঙ্গলম। কৃষ্ণং কৃষ্ণাম্বরং

গৃধ্র- গতং সৌরিং চতুর্ভুজম। তদ্ব দ্বা

বর – শুলং ধনু হস্তং সমাহ্বয়েৎ।

যমাধিদৈবতং প্রজা – পতিপ্রতধি

দৈবতম নমঃ নমঃ।।১

ঔঁ ণীলাজ্ঞনচয়প্রখ্যং রবিসুনুং মহাগ্রহম্।

ছায়ায়া গভ‘সস্ততং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্ নমঃ


শনিগায়ত্রী :–

—————-

ওঁ কৃষ্ণাঙ্গায় বিদ্মহে রবিপুত্রায় ধীমহি তন্নঃ সৌরী

প্রচোদয়াৎ

* তন্ত্রোক্ত শনি মহারাজের বীজ মন্ত্র***

============

[ওঁ প্রাং প্রীং প্রৌং শনৈশ্চরায় নমঃ]

ক্ষমা প্রার্থনা-

নমো যদক্ষরং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ ।

পূর্ণং ভবতু ত্বং সর্বং ত্বং প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।।

মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন ।

যৎ পূজিতং ময়াদেব পরিপূর্ণং তদস।


শনিদেবের পাঁচালী -----


শ্ৰীহরি নামেরে দ্বিজ এজন আছিল।

ব্ৰাহ্মণক সেবা করা ইচ্ছা উপজিল।।

কিন্তু তেওঁর একো নাই ভিক্ষা বৃত্তি করে।

কোনমতেই দ্বিজসেবা করিব নোবারে।।

নিত্য ভিক্ষা করি তেওঁ উদর পুরায়।

কোনমতে তাকে করি পেট প্ৰবতাই।।

অতিকষ্টে থাকি সেই দরিদ্ৰ ব্ৰাহ্মণ।

সৰ্বদায় চিন্তা করে শ্ৰীহরি চরণ।।

যদিও আহার নাই থাকে সুদা পেটে।

তথাপি গোবিন্দ নাম ভজে অকপটে।।

সেই সময়তে এটি পুত্ৰ জনমিলে।

পুত্ৰমুখ দেখি দ্বিজর দুখ উপজিলে।।

পুত্ৰমুখ দেখি কষ্ট হল ব্ৰাহ্মণ।

এই কি ছালনা করা ওহে নারায়ণ।।


কোঁবা প্ৰভু এই সন্তান মই পালিম কেনেকরি।

মাজে মাজে অনশনত থাকো মই হরি।।

তথাপি তোমার ইচ্ছা করিম মই পুরণ।

ভিক্ষা করি রক্ষা করিম পুত্ৰর জীবন।।

ভিক্ষা করি করি সেই শ্ৰীহরি ব্ৰাহ্মণ।

দ্বিজসেৱা করে আরু শিশুর পালন।।

সুমঙ্গল বুলি নাম পুত্ৰর রাখিল।

অমঙ্গলত সুমঙ্গল পুত্ৰ নাম হল।

সুমঙ্গলে ভরিদিলে পঞ্চম বছরত।

বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভলৈ দ্বিজর হৈল মত।।

অত্যন্ত মেধাবী পুত্ৰ সবে গুণ গায়।

কম সময়তে শিশু শিকে সমুদায়।।

ক্ৰমে ক্ৰমে নানা শাস্ত্ৰ করি অধ্যয়ন।

পণ্ডিত বুলিয়া খ্যাতি করিলে অৰ্জন।।


শিশু সুমঙ্গলে করে একান্ত চিন্তন।

কেনেকৈনো পাব পারি গোবিন্দ-চরণ।।

সার অংশ চিন্তা করি ভাবে মনেমনে।

ত্যাগ করে ঘর-বারি পিতৃ মাতৃ গণে।।

নানা দেশ নানা তীৰ্থ করে পৰ্যটন।

অবিরাম চিন্তা করে কোত নারায়ণ।।

অকস্মাতে সুমঙ্গলে এক বাৰ্ত্তা পালে।

পিতৃ মাতৃ দুয়োজনে সংসার এরিলে।।

এই শোকবাৰ্ত্তা শুনি পুত্ৰ সমঙ্গল।

হা পিতা মাতা বুলি করিছে ক্ৰন্দন।।

সামরিলে শোকতাপ গায়ক্ষেত্ৰে গৈল।

বিষ্ণুপদে সভক্তিরে তৰ্পণ করিল।।

কালর মহাত্মা কোনে করিব খণ্ডন।

শনির দৃষ্টি পরে দ্বিজর নন্দন।।


বল-বুদ্ধি শনিদেবে সকলো হরিলে।

খেলি মেলি মন লৈয়া ভ্ৰমণ করিলে।।

বিদৰ্ভ নগরত রজা শ্ৰীবত্স রাজন।

প্ৰজাগণক পুত্ৰসম করয়ে পালন।।

সেই সভাই সুমঙ্গল কৰর আগমন।

পাদ্য অৰ্ঘ দিলে রজাই দেখিয়া ব্ৰাহ্মণ।।


কোন বংশোদ্ভব তুমি সোধে নররায়।

ক’ত থাকা কিনো নাম দিয়া পরিচয়।।

শুনি সুমঙ্গলে তেওঁর দিলে পরিচয়।

সুমঙ্গল নাম মোর ব্ৰাহ্মণ তনয়।।

দরিদ্ৰ বালক মই নাই পিতা মাতা।

দেশে দেশে ঘূরি ফুরো যাঁও যথা তথা।।

রজাই বোলে হে দ্বিজ চিন্তা করা দূর।

আমার গৃহতে থাকা এই কথা মোর।।

নানা শাস্ত্ৰবিদ বুলি অনুমান হয়।

শাস্ত্ৰজ্ঞান বিলাবলৈ কৃপা মাগো মই।।

দুই পুত্ৰ আছে মোর শুনাহে ব্ৰাহ্মণ।

সুশিক্ষা করিবা দান এই অকিঞ্চণ।।

নৃপতির কথাত দ্বিজ তুষ্ট হইল।

রাজপুত্ৰদ্বয়ে শিক্ষা আরম্ভ করিল।।


দুখ কষ্ট দূর হৈ সদা সুখে রয়।

রজার পণ্ডিত বুলি হল পরিচয়।।

এইদরে কিছুদিন পার হৈ গ’ল।

বালকর বেশে শনি উপস্থিত হল।।

ছাত্ৰর বেশেতে শনিক চিনিব নাপায়।

মোকো শিক্ষা দিয়া বুলি শিষ্য হৈ কয়।।

বুজিব নোবারে দ্বিজে শনির ছলনা।

শনির রূপতে মন হইল মগনা।।

সোধতে কয় সূৰ্যর কুমার।

শিক্ষা হেতু আহিছো কাষতে তোমার।।

সুমঙ্গলে বোলে সুখে করা অধ্যয়ন।

যি শিক্ষা কবিছো লাভ করাহে পঠন।

বিপ্ৰর কথাত শনি সন্তুষ্ট হইল।

ব্ৰাহ্মণর পাশে শাস্ত্ৰ মনদি পঢ়িল।।


ব্যাকরণ স্মৃতি কাব্য সাংখ্য ও দৰ্শন।

কম সময়তে শনি করে অধ্যয়ন।।

সকলো বিদ্যাতে শনি অদ্বিতীয় হৈল।

আচরিত হৈ বিপ্ৰই পরিচয় সুধিল।।

শনি বোলে কি দিম নিজ পরিচয়।

শনৈশ্চর নাম মোর রবির তণয়।।

শুনি সুমঙ্গেলে মৃদু হাঁহি মারি কয়।

মই আজি ধন্য হলো শুনি পরিচয়।।

যদি দেব তুষ্ট ভৈলা মম প্ৰতি।

কেনেকৈ মোর শেষ হব দুৰ্গতি।।

তাহার সন্ধান দেব কোবা দয়া করি।

সদায় আকুল চিত্ত থাকিব নোবারি।।

মোর ওপরে তব আছে যে কটাক্ষ।

কোবা দেব কি ভাবে হব যে সপক্ষ।।

শনি কয় শুনা তবে ওহে মহাশয়।

মোৰ ভোগ মাত্ৰ দহবছর রয়।।

আরু অবশিষ্ট ভোগ ছয়মাহ আছে।

দশ দণ্ড মাজে যাব নাহে আরু পাছে।।

দশ দণ্ড পাবা অতি বর কষ্ট।

পিছতেই গুছি যাব তোমার অরিষ্ট।।

সাত দিনত যাবাগৈ ভাগীরথী তীর।

ধ্যান করিবা মাথো দেব শ্ৰীহরির।।

মোর কোপর পরা পাবাহে মুকুতি।

কহিলোহো সার বাক্য এহি যে যুগুতি।।

এই কথা কৈ শনি হৈল অন্তধ্যান।

বিচারি নাপালে ব্ৰাহ্মণ শনির সন্ধান।।

অবশেষত দ্বিজবর গল গঙ্গাতীর।


একান্ত মনেরে ধ্যন করিলে শ্ৰীহরির।।

দশদণ্ড পূৰ্ণ হল বুলি ভাব ধরি।

সুমঙ্গল ঠিয় হৈল বুলি শ্ৰীহরি।।

কিন্তু দশদণ্ড পূৰ্ণ নোহোবা যেন দেখি।

পূনর ভজে নারায়ণ চকু মুদি মুদি।।

তাকে দেখি শনিদেবর খং উঠি গল।

নারায়ণক সাক্ষি করি তেওঁ কৈ গল।।

মোর একো দোষ নাই দৈবর ঘটন।

নিজ কৰ্মদোষে কষ্ট পাইল ব্ৰাহ্মণ।।

শনিদেব অতি ক্ৰোধে বিহ্বল হইল।

দুই রাজপুত্ৰ শনি হরণ করিল।

নিজ মায়াবলে দুই শিশুমূণ্ড গঢ়ি।

বিপ্ৰপাশে লৈয়া তাক গল রালরি।।


ধ্যনমগ্ন সুমঙ্গল আছে গঙ্গাতীরে।

দুটি মূণ্ড পরে তেওঁর কোলার ওপরে।।

নিদ্ৰাত ইফালে রজাই দুঃসপ্ন দেখিল।

পাত্ৰ মিত্ৰ লৈ রজা গঙ্গাতীরে গৈল।।

দেখিয়া দ্বিজের কোলাত পুত্ৰ মুণ্ডদ্বয়।

হাহাকার করি কান্দি বাগরি পরয়।।

রজার যত দূতগণ বান্ধে ব্ৰাহ্মণক।

শৃহ্খলে বন্ধণ করি রাখিলে দ্বিজক।।

কারাগারত বহি দ্বিজ কান্দিব ধরিলে।

বিপদহন্তা শ্ৰীহরিক স্মরিবলৈ ললে।।

রক্ষা করা দিনবন্ধু এঘোর সঙ্কটে।

রজার ক্ৰন্দন শুনি মোর হিয়া ফাটে।।


এতিয়া ঘটিলে এক বিচিত্ৰ ঘটন।

দশদণ্ড পূৰ্ণবেলা উপস্থিত হল।।

শোকতে কাতর রজা যি ঠাইত আছিলে।

তাতে গৈ দুইপুত্ৰ পিতৃক মিলিলে।।

রজাই বোলে কত আছিলা হৃদয়র ধন।

শয্যাত আছিলো আমি করিয়া শয়ণ।।

পুত্ৰ কথা শুনি রজা অবাক হইল।

রজা রাণী দুয়ো পুত্ৰক কোলাতে বসাইল।।

আঞ্জামত্ৰে দূতগণে আনিলে দ্বিজক।

শিৰ্ণ কলেবর রজাই দেখিলে বিপ্ৰক।।

নানা স্তুতি করি রজাই দ্বিজক সুধিলে।

কোন শিশুর মুণ্ড তেওঁ দেখিবলৈ পালে।।

দ্বিজ বোলে মহারাজ শুনামোর বাণী।


ইয়ার কারণ মাত্ৰ জানো মই শনি।।

রজাই বোলে যদি পাঁও শনি দরশন।

ষোরশোপচারে তেওঁর পুজিম চরণ।।

রজার কথাদ্বিজ করিল গমন।

শনির কাষত করে সব নিবেদন।।

সকলোবোর কথা শুনি শনিও আহিলে।

শনিক দেখিয়া রজাই প্ৰণাম করিলে।।

রজাই বোলে তোমাক পূজা করিবলৈ মন।

কৃপা করি কোবা মোক পূজার বৰ্ণন।।

শনি বোলে পূজা বিধা শুনাহে রাজন।

কিরূপে করিবা মোর পূজা আয়োজন।।

শুদ্ধভাবে শুদ্ধমনে মোরেই বরতে।

করিবা শনির পূজা উপবাস ব্ৰতে।।

সন্ধ্যাকালে শুদ্ধভাবে পূজা আরম্ভিবা।


নীলবস্ত্ৰ কৃষ্ণ তীল আরূ তেল দিবা।।

মুগ মাটিমাহ আনি উত্সৰ্গা করিবা।

কৃষ্ণবৰ্ণ ঘট আনি প্ৰতিষ্ঠা করিবা।।

পঞ্চবিধ ফল-ফুলে করিবা অৰ্চনা।

ভক্তিয়েই প্ৰধান দ্ৰব্য মনত রাখিবা।।

পূজার বিধান মোর জনালো তোমাক।

পূজা শেষ ভক্তি ভাবে করিবা প্ৰণাম।।

নবগ্ৰহ স্ৰোত্ৰ পাঠ অবশ্যে করিবা।

সকলো পাপর পরা মুক্ত হৈ যাবা।।

অভক্তিরে যেয়ে প্ৰসাদ গ্ৰহণ করিব।

অল্পদিনর ভিতরতে চমন আহিব।।

শনির পূজার যেনে করে অনাদর।

চিরকাল দুখ পায় হব যে কাতর।।


এই কথা কৈ শনি হৈল অন্তৰ্ধ্যান।

ভক্তি ভাবে করে রজাই শনির পূজন।।

প্ৰতি শনিবারে পূজা করে নৃপবর।

বিপ্ৰগণক দান দিয়া তুষিলে বিস্তর।।

সুমঙ্গলে রজার কাষর পরা গৈয়া।

গঙ্গাতীরত শনিপূজা করিবলৈ লৈলা।।

এইমতে প্ৰচারিলে পূজা শনিদেবে।

যার যেনে শক্তি আছে পূজে ভক্তি ভাবে।।

সৰ্বদা শনির পদে থাকে যার মনে।

উদ্ধারে বিপদর পরা প্ৰতি ক্ষনে ক্ষনে।।

শনির পাঁচালী যেয়ে রাখিব ভবনে।

কেতিয়াও নপরে তেওঁ বিপদ বন্ধনে।।

শনিক প্ৰণাম করি যি কাৰ্য্যে য়ায়।

সমাদর হয় তেওঁর সততে সদায়।।

স্কন্দ পুরানর কতা অন্যথা নহয়।

যথাবিধি ব্যাসবাক্য সদা সত্য হয়।।

No comments