বন্দরের কাজ বন্ধ !বন্দর ও ঠিকাদার সংস্থার গোপন আঁতাতের ফলেই কি বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিক?আট ঘন্টা কেটে গেল হলদিয়া বন্দরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। সমাধান সূত্রে আসতে পারেননি বন্দর কর্তৃপক্ষ।খাতা-কলমে বেশি বেতন দেখিয়ে সই করিয়ে কম বে…
বন্দরের কাজ বন্ধ !বন্দর ও ঠিকাদার সংস্থার গোপন আঁতাতের ফলেই কি বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিক?
শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে হলদিয়া বন্দরে। শ্রমিকদের বেতন থেকে পিএফের টাকা কেটে নেওয়া ঘিরে গত ১০ ই ডিসেম্বর ভিক্ষুক করেছিলাম বন্দরের শ্রমিক। বিক্ষোভরত শ্রমিকরা বন্দরের রিপ্লে কার্গো হ্যান্ডেলিং সংস্থার অধীনে রয়েছেন। ওই সংস্থাই প্রধানত বন্দরের ডক এরিয়ায় সিংহভাগ বার্থে(যেখানে জাহাজ দাঁড়ায়) পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করে। বিক্ষোভের জেরে এদিন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বন্দরের কাজ। ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল বন্দরমুখী জাহাজ। সন্ধে পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠকেও মেলেনি সমাধানসূত্র। ঠিকাদার সংস্থা রিপ্লে এর সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় সভা করেছিলেন। কিন্তু কোন কার্যকারিতা হয়নি। দুই মাসের সময় চেয়ে নিয়েছিলেন ঠিকাদার সংস্থা শ্রমিকদের সমস্যার মিটিয়ে নেবেন বলে। কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমর্থন করে না আইএনটি টিইউসি জানিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
গত দুমাস শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে রিপ্লাই কোম্পানি ঠিক করেছিল কিন্তু অতিক্রান্ত হয়েছে শ্রমিকদের সঙ্গে কোন সুরাহা করতে পারেনি তাই ১০ই ফেব্রুয়ারি বিকেল দুটো থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড পরপর আরো তিনটি বাড়ছে কাজ বন্ধ হয়ে যায় বন্ধনের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জাহাজ পরিস্থিতি ঠিকঠাক না থাকা জন্য কয়েকটি জাহাজকে ঘুরিয়ে দেওয়া হলো মাঝপথে। হঠাৎ করে কোনও খবর না দিয়ে এভাবে কাজ বন্ধ করে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, এই ঘটনার জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ওই( রিপ্লে ঠিকাদার সংস্থা) হ্যান্ডেলিং এজেন্টকে শোকজ করা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চেয়েছে। ঘনঘন এই ধরনের বন্দরে শ্রমিক বিক্ষোভ তা ভারতবর্ষে অন্যান্য বন্দরে প্রভাব পড়তে পারে। বন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্বার্থ না দেখে তাহলে কি ঠিকাদারি সংস্থা স্বার্থ দেখছেন? কেনই বা নীরব রয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষে দোদুল্যমানতার জন্যই হলদিয়ার সুনাম নষ্ট হচ্ছে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নিক বন্দর কর্তৃপক্ষ।হলদিয়া কলকাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট সাধারণ সম্পাদক ভারতীয় মজদুর সংঘ এবং রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন শ্রমিকদের না জানিয়ে বেসিক টাকা বাড়িয়ে পিএফ এর টাকা বেশি করে কাটা হচ্ছে। কিন্তু বেসিক অনুযায়ী তাদের বেতন দিচ্ছে না ঠিকাদার সংস্থা। শ্রমিকদের দাবি বেসিক অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়া হোক। ঠিকাদার সংস্থার হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্যই দিনভর কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখালেন। প্রদীপ বিজলী বলেন শ্রমিকদের না জানিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না রিপ্লে ঠিকাদার সংস্থা। অবিলম্বে শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরু করুক না হলে অন্য কোন সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হোক। শ্রমিক এবং ঠিকাদারের জন্য হলদিয়া বন্দরে সুনাম নষ্ট হবে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। বন্দর কর্তৃপক্ষ নজর দিক এর আগেও একাধিক দাবি নিয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। ঠিকাদারের আচরণের শ্রমিকের বিক্ষোভ আর তার জেরে বিশ্বের বাজারে হলদিয়ার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ৮ ঘন্টা কেটে গেল এখনো বন্দর কর্তৃপক্ষ নীরব কেন অবিলম্বে শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করে কাজ শুরু করুক। অচল অবস্থা সারা ভারতবর্ষের মানুষ দেখছে কোটি কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি এর দায় কে নেবে?
No comments