নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল একটি দেহ। এখনও নিখোঁজ চার রূপনারায়ণে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল একটি দেহ। এখনও নিখোঁজ চার। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপনারায়ণ নদীতে নৌকাডুবির পর মাঝ রাত পর্যন্ত তল্লাশি …
নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল একটি দেহ। এখনও নিখোঁজ চার
রূপনারায়ণে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল একটি দেহ। এখনও নিখোঁজ চার। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপনারায়ণ নদীতে নৌকাডুবির পর মাঝ রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। শুক্রবার সকালে ফের শুরু হয় তল্লাশি। তখনই এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত মহিলার নাম সুনন্দা ঘোষ (৫৯)। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই মৎসজীবীদের জালে আটকে ছিল দেহটি। এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালানো হলেও নিখোঁজ বাকি চারজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার নৌকার মাঝি রবীন পাত্রকে গ্রেপ্তার করে বাগনান থানার পুলিস। ধৃতকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে জামিন দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়ার দিক থেকে চারটি উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। দলে আছে এনডিআরএফ, কলকাতা পুলিসের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়াও মেদিনীপুরের দিক থেকেও একটি এসডিআরএফের টিম তল্লাশি শুরু করেছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার, অতিরিক্ত জেলাশাসক জিতিন যাদব, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানসকুমার মণ্ডল সহ পদস্থ আধিকারিকরা। উদ্ধার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। আসেন হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য। এদিকে, নৌকাডুবির খবর পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অচ্যুৎ ঘোষ এবং অমর ঘোষের পরিবারের সদস্যরা। পুলিসের কাছে ঘন ঘন খোঁজ নিচ্ছে নিখোঁজ প্রীতম মান্নার পরিবার। অমর ঘোষ এবং সুনন্দা ঘোষের ছেলে অনিন্দ ঘোষ বলেন, বাবা ও মা দু’জনেই নিখোঁজ ছিলেন। মায়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মায়ের দেহ ময়নাতদন্তের পর হাওড়ার পিস হেভেনে রাখা হবে। অচ্যুৎ সাহার মেয়ে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে টিভিতে নৌকাডুবির খবর পাওয়ার পর থেকেই পরিবারের সবাই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। তাঁর বক্তব্য, এতজনকে একসঙ্গে নৌকায় নিয়ে আসা কোনওভাবেই উচিত হয়নি মাঝির। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অচ্যুৎ সাহা সালকিয়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর তিন মেয়ে। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সকলেই। অন্যদিকে, এদিন আদালতে যাওয়ার পথে নৌকার মাঝি রবীন পাত্র জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দু’দফায় ১৭ জনকে মেদিনীপুর নিয়ে গেলেও ফেরার সময় তাঁদের চাপাচাপিতে একবারেই সবাইকে নিয়ে ফিরছিলাম। নৌকায় জল ঢোকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রবীন। যদিও তাঁর দাবি, ভেবেছিলাম পৌঁছে যাব। কিছু হবে না। মাঝ নদীতে নৌকায় অনেকটা জল ঢুকে যাওয়ায় আচমকা সেটি ডুবে যায়। রবীন জানান, আমিও একঘণ্টা নদীতে ভেসে ছিলাম। পরে আমাকে উদ্ধার করা হয়। মাছ ধরার নৌকায় কেন এতজনকে নিয়ে গিয়েছিলেন, উত্তর দিতে পারেনি রবীন।
No comments