Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন

উজবেকিস্তানে দুর্ঘটনায় মৃত  দুই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন উজবেকিস্তানে দুর্ঘটনায় মৃত পূর্ব মেদিনীপুরের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বুধবার রাত থেকেই তৎপরতা শুরু করে…

 




উজবেকিস্তানে দুর্ঘটনায় মৃত  দুই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন 

উজবেকিস্তানে দুর্ঘটনায় মৃত পূর্ব মেদিনীপুরের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বুধবার রাত থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মৃত দুই শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের নামঠিকানা রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। ভারত ও উজবেকিস্তান দুই দেশের দূতাবাসে এবিষয়ে কথাবার্তা এগোচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিয়মকানুন মেনে দুই শ্রমিকের দেহ আগামী রবিবার বা সোমবার নাগাদ জেলায় পৌঁছতে পারে।

উজবেকিস্তানে তুষারঝড়ে টিনের ওয়ার্কশপ চাপা পড়ে সাইফুদ্দিন মাইতি (২৯) নামে হলদিয়ার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি ভবানীপুর থানার রাজনগর গ্রামে কুমারপুর পোস্ট অফিসের পাশে। তাঁর স্ত্রী ও বছর দু’য়েকের শিশু সন্তান রয়েছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাইফুদ্দিন পরিবারের মেজো ছেলে। ওইদিন রাতে সাইফুদ্দিনের বাড়িতে ফোন করে খবর নেন মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও পুলিস। বৃহস্পতিবার সাইফুদ্দিনের পরিবারকে সমবেদনা জানান বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য অচিন্ত্য শাসমল। কীভাবে দেহ আনা হবে সেবিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে বিধায়ক উদ্যোগী হয়েছেন। সাইফুদ্দিন ও তাঁর এক প্রতিবেশী বন্ধু মাস চারেক আগে উজবেকিস্তানে কাজে গিয়েছিলেন। ওই বন্ধুটি বরাতজোরে বেঁচে গেলেও সাইফুদ্দিনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। ক্লাস টুয়েলভ পাশের পর সাইফুদ্দিন ফিটার ট্রেনিং নিয়েছিলেন। বাগনানের এক এজেন্টের সঙ্গে উজবেকিস্তানে কাজে গিয়েছিলেন। একটি ভারতীয় সংস্থার অধীনে তিনি কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ উজবেকিস্তানের তাসখন্দ রিজিয়নের ওলমালায়েকে প্রবল তুষারঝড়ে কয়েকটি টিনের শেড ভেঙে পড়ে। তা চাপা পড়ে সাইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়।

ওই এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন হলদিয়ার শিবরামনগর গ্রামের পরিমল পট্টনায়েক নামে এক যুবক। তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন না। সাইফুদ্দিনরা কাজে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় ১২জন মারা গিয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় তাপমাত্রা শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল।

এদিন সিপিএম জেলা নেতা অচিন্ত্য শাসমল সহ অন্য নেতারা সাইফুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তাঁর ভাই সেলিম বলেন, শ’দেড়েক শ্রমিক ছিল ওই ওয়ার্কশপে। শুনেছি, দাদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায়। বাগনানে এজেন্সির অফিসে গিয়ে জানতে পারি, মৃতের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেখানে দাদার নাম ৪নম্বরে ছিল।

এগরার রাজীব করণ (৩০) নামে অপর এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রাজীব এগরা-১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে বহড়দা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি আট মাস আগে উজবেকিস্তানে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে ছোট ভাই, স্ত্রী ও ন’মাসের শিশুসন্তান আছে। রাজীবের মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়িতে এখন কান্নার রোল। থেকে থেকে মূর্ছা যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর দেহ ফেরাতেও জেলা প্রশাসন তত্পর।

No comments