কৃষি মেলায় নতুন নয়া প্রযুক্তিতে ফলন বাড়াতে নয়া উদ্যেগপূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া শিল্প তালুক হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের উদ্যোগে তফসিল জাতি কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কৃষির প্রযুক্তি আধুনিক কৃষি ক্ষেত্রে কৃষক ভাইদের জন্য বিশেষ সে…
কৃষি মেলায় নতুন নয়া প্রযুক্তিতে ফলন বাড়াতে নয়া উদ্যেগ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া শিল্প তালুক হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের উদ্যোগে তফসিল জাতি কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কৃষির প্রযুক্তি আধুনিক কৃষি ক্ষেত্রে কৃষক ভাইদের জন্য বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করলেন।
হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড এর উদ্যোগে ২৫০ জন কৃষককে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের কলা-কৌশল দেখানো হয়।নতুন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফলন বাড়ানো যায়। কৃষকরা তাঁদের লাভের অঙ্ক বাড়াতে পারেন। শুক্রবার ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে কৃষি প্রযুক্তি মেলা থেকে বার্তা দেওয়া হল। হলদিয়া অবস্থিত এই তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদক কারখানা চত্বরে কৃষি আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মিশ্র তিনি বলেন "বাংলার মাটি কৃষি কাজের উপযোগী। এখানে সমস্ত এলাকায় ৬ ঋতুতে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষ-আবাদের ব্যবস্থা হলে সবুজ বিপ্লব ঘটবে। বাড়ির পাশে জমি নেই, অথচ চাষের মানুষজনদের কথা ভেবে রুফটপ চাষের গুরুত্ব দেওয়া হোক। এবং সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় মাটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করুক হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্বিকভাবে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।" এদিন এই কৃষি প্রযুক্তি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন তফসিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণিভূক্ত ২৫০ জন কৃষককে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের কলা-কৌশল জানানো হয়। বিধানচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এই মেলা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। মেলায় কৃষকদের হাতে চাষের বেশ কিছু সামগ্রী উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে এ ধরনের আয়োজন আগে করেনি। হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে এই উদ্যোগে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হয়ে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। তাতে খুশি কৃষকরাও। সংস্থার প্ল্যান্ট হেড তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, "জনসংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। সেই অনুপাতে কৃষি উৎপাদনে জোর দেওয়া জরুরি প্রয়োজন। আর সে ক্ষেত্রে কৃষিবিজ্ঞান এবং তাদের ব্যবহার ঠিকঠাক প্রয়োজন। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব মেদিনীপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র কৃষকদের কথা ভেবে এগিয়ে এসেছে। সিএসআর প্রজেক্টে কৃষকদের পাশে রয়েছি।"
সুতাহাটা এলাকায় একটি মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি ব্লকে চাষের কাজে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের সহযোগিতা চেয়েছেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মিশ্র। গত কয়েক বছর ধরে, ঝিকুরখালি এরিয়াখালি, বানেশ্বরচক, রূপনারায়ণচক এলাকায় সবজি চাষ, পরিবেশ উপযোগী ধান চাষ সহ বিভিন্ন চাষাবাদে হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এবার কৃষি প্রযুক্তি মেলা সেই উদ্যোগে কৃষকদের নতুন দিশা দিচ্ছে। বৃহৎ কৃষি ক্ষেত্রে অনুখাদ্য, সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে এদিন ড্রোনের ব্যবহার দেখানো হয়েছে মেলায়। এছাড়াও মাটি ছাড়া চাষের পদ্ধতি কৃষকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল মেলায় তুলে ধরেছেন কৃষকরা। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর পিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান নিতাই মুদি, নাবার্ডের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আধিকারিক পিংকু দাস, হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের পদস্থ কর্তা সত্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিদুষরঞ্জন সেন প্রমুখ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments