Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বাম প্রগতিশীল জোটের জয়

কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বাম প্রগতিশীল জোটের জয় 
 ৭ই ফেব্রুয়ারি,  ২০২৪ হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স কনজিউমার্স  কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন। বন্দরের ২১টি ডিভিশনের মোট আসন ৫৪টি।ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল দশটা থেকে…

 


কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বাম প্রগতিশীল জোটের জয় 


 ৭ই ফেব্রুয়ারি,  ২০২৪ হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স কনজিউমার্স  কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন। বন্দরের ২১টি ডিভিশনের মোট আসন ৫৪টি।ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলে। ভোট গ্রহণের অব্যবহিত পরেই ভোট গণনা শুরু হবে। ভোট গণনার অব্যবহিত পরেই ফল ঘোষণা করা হয়। হলদিয়া বন্দরে এর আগেও কয়েকটি নির্বাচনই বামপন্থীদের জয় অব্যাহত ছিল। সেই জয়ের সাথে এবারই কোপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচনে ৪৮ টি বামপন্থীরা এবং ডানপন্থী অর্থাৎ শাসক দল ছটি আসন পেলেন। হলদিয়া বিধানসভা বিজেপি বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও কোপারেটিভ সোসাইটি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিলেন কিন্তু একটিও আসন পেলেন না। বিধানসভা বাম দূর্গো আগে যেমন ছিল ঠিক তেমনি ভাবেই প্রত্যেকটি নির্বাচনে বামপন্থীদের জয় অব্যাহত সামনে লোকসভা নির্বাচন তার আগেই হলদিয়া বামপন্থীদের জয়ের লাল পতাকা উড়ল। হলদিয়া বন্দরের কয়েকটি নির্বাচনে বামপন্থীরা এখন অক্সিজেন পাচ্ছে?

 হলদিয়া কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বাম প্রগতিশীল জোটের জয় হল। টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে হলদিয়া টাউনশিপ বিবি ঘোষ অডিটোরিয়ামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল । ১) তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি সমর্থিত, ২) বিজেপি'র বিএমএস সমর্থিত ও ৩) সিপিএসইউ, সিটু, এআইটিইউসি সমর্থিত ও কেপিপিইইউ সমর্থিত বাম প্রগতিশীল জোট প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়িয়েছিল । 

মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫৯১ ।

সকাল ১০ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হয় । বাম প্রগতিশীল জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে।ফলাফল :মোট আসন - ৫৪,বাম প্রগতিশীল জোট - ৪৮,তৃণমূলের (এন ইউ ডব্লিউ ডব্লিউ আই) - ৬ বিজেপি - 0

পুনরায় হলদিয়ায় লাল পতাকা উড়ল, বন্দরের সোসাইটির ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, খালি হাতে ফিরল বিজেপি

হলদিয়া বন্দরের কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিলেন বামপন্থী সংগঠনের প্রগতিশীল প্রতিনিধিরা। ৫৪টি আসনের মধ্যে ৪৮ টিতেই বিজয়ী হয়ে সোসাইটি নিজেদের দখলে রাখল বামেরা। বাকি ৬ টি আসন পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল। তবে একটিও আসন না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হল বিজেপি সমর্থিত বিএমএস প্রতিনিধিদের। এই ফলে স্বভাবতই খুশি বামেরা। অন্য দিকে, তৃণমূল এই ভোটের ফলাফল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত ১৫দিন ধরে সমবায়ের নির্বাচন ঘিরে জোরদার প্রচার চলে। সেই জন্য শিল্পাঞ্চলের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নজর ছিল এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। কারণ, লোকসভা নির্বাচনের আগে বন্দরের এই সমবায় ভোট ছিল সব রাজনৈতিক দলের কাছেই অ্যাসিড টেস্ট। এদিন সকাল থেকেই হলদিয়ার টাউনশিপ চত্বরে ছিল টানটান উত্তেজনা। ওই সোসাইটি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হল। স্বাভাবিকভাবেই ফলাফল নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। বন্দরের কর্মীরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। নির্বাচন ঘোষণার সময় সোসাইটির ভোটার ছিল ২৫৯১জন। ৭ ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফল ঘোষণা হয়। এদিন সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা । সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, ব্রিগেড সমাবেশে যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল তার প্রতিক্রিয়া দেখা গেল হলদিয়ায়। লোকসভা নির্বাচন বা পুর নির্বাচনের আগাম পূর্বাভাস মিলেছে বন্দরের ভোটে। বন্দরের সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রি জয়ী প্রগতিশীল প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্দরে শ্রমিক কর্মচারীদের লড়াইয়ের পাশে সবসময় থাকার ফল পেয়েছে বামেরা। তবে  বিজেপির ব্যাখ্যা, বন্দরের স্থায়ী কর্মীদের সিংহভাগ সিপিএমের আমলে চাকরি পেয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরনো কর্মী হিসেবে তাঁরা বামেদের পক্ষে ভোট দিয়েছে।  বন্দরে অন্য একটি ভোটে গতবার তৃণমূল একটিও আসন পায়নি। সে তুলনায় ৬টি আসনে জয়ী হওয়ায় অপেক্ষাকৃত ভালো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শিল্পাঞ্চলে সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে বুথ মিটিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বন্দরের বিজেপি নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, কোনও আসন না পেলেও প্রার্থীরা ভালো ভোট পেয়েছেন। বন্দরের কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য খুব কম। কিন্তু প্রার্থীরা চারগুণ ভোট পেয়েছেন।

এই হলদিয়া এক সময় বামেদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের উপর দিয়ে কয়েক বছরে বয়ে গিয়েছে পরিবর্তনের একাধিক স্রোত। এক সময়ের বাম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এখন বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। সিপিএমের আর এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ এখন কংগ্রেস নেতা। তার মধ্যে হলদিয়া বন্দরের এই কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বামেদের জয় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

No comments