শিল্প শহরে আকাশে বাতাসে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের! সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নব দম্পতি
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন https://youtu.be/xoTD3CsINkU
'যদেতং হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম। যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।'রজনীগন্ধা ফুলের গ…
শিল্প শহরে আকাশে বাতাসে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের! সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নব দম্পতি
'যদেতং হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম। যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।'রজনীগন্ধা ফুলের গন্ধে ওস্তাদ হায়দার আলীহাসান সানাই মুগ্ধ হলেন হাজার হাজার মানুষজন।
বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে চার হাত এক করার সংকল্প নিয়ে হলদিয়া উৎসব কমিটি ও বইমেলা কমিটির যৌথ প্রয়াসে গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় ২৭ জানুয়ারি শনিবার ২০২৪। বিবাহ অনুষ্ঠানে হর ওজন কোণে সাজানোর দায়িত্ব নিলেন হলদিয়া জনশিক্ষণ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিউটিশিয়ানরা সারা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাজানোর দায়িত্বে কনে সাজালেন।। প্রসঙ্গত হলদিয়া জনশিক্ষণ কমিটি প্রত্যেক বৎসরই বহু মহিলাদের ট্রেনিং দিয়ে থাকেন সেই ট্রেনিং প্রাপ্ত হওয়ার পর সারা জেলা জুড়ে জনশিক্ষণের ট্রেনিং প্রাপ্ত মহিলারা বিভিন্ন জায়গায় বিউটি পার্লার করে বসে রয়েছেন সেই সকল বিউটি পার্লারের থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল হলদিয়া উৎসব এবং বই মেলা অনুষ্ঠানে কনেদের সাজানোর জন্য।
হলদিয়া জনশিক্ষণের ডাইরেক্টর সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন।হলদিয়ার সুতাহাটায় গনবিবাহ উৎসব - ২০২৪ এই অনুষ্ঠানে জন শিক্ষন সংস্থান হলদিয়ার বিউটিশিয়ান কোর্সের সফল শিক্ষার্থীদের দ্বারা কনেদের সাজানো হয়েছে। আমরা সত্যি আনন্দিত জনশিক্ষণ থেকে ট্রেনিং নিয়ে আজ বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা তারা স্বনির্ভর হয়েছেন কেন্দ্র সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এই কর্মসূচি আজ বাস্তবায়িত। এই জনশিক্ষণ থেকে বহু মহিলারা ট্রেনিং নিয়ে স্বাধীন ভাবে, স্বনির্ভর হতে পারবে গত ২৪ শে জানুয়ারি শিশু কন্যা দিবসে সেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে জনশিক্ষণের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সুতাহাটা আজাদ হিন্দ ময়দান ২৭ শে জানুয়ারি শুধু একটাই আওয়াজ 'যদেতং হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম। যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।'
বৈদিক মন্ত্র উচারণের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নব দম্পতিরা নব দম্পতিদের আশীর্বাদ করার জন্য হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন তাদের বিবাহ বন্ধনের সাক্ষী থাকার জন্য আশীর্বাদ করার জন্য। নব দম্পত্তিদের হাতে বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দিলেন মানবাধিকার কমিশনের সম্পাদিকা মানসী শেঠ।
বিবাহ বা বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিছু সংস্কৃতিতে, যে কোন প্রকারের যৌন কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হওয়ার পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন করাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হওয়া অথবা বিবেচনা করা হয়। বিশদ বিবৃত সংজ্ঞার ভাষায় বলতে গেলে, বিবাহ হল একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন সংস্কৃতি। বিবাহ সাধারণত কোন রাষ্ট্র, কোন সংস্থা, কোন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, কোন আদিবাসী গোষ্ঠী, কোন স্থানীয় সম্প্রদায় অথবা দলগত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে। একে প্রায়শই একটি চুক্তি হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় অথবা ধর্মনিরপেক্ষ আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। বৈবাহিক কার্যক্রম সাধারণত দম্পতির মাঝে সমাজ-স্বীকৃত বা আইনগত দায়িত্ববোধ তৈরি করে, এবং এর মাধ্যমে তারা বৈধভাবে স্বেচ্ছায় সন্তানসন্তানাদির জন্ম দিতে পারে। বিশ্বের কিছু স্থানে, পরিবার-পরিকল্পিত বিবাহ, শিশু বিবাহ, বহুবিবাহ এবং জোরপূর্বক বিবাহ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হয়। বলা বাহুল্য, আন্তর্জাতিক আইন ও নারী অধিকার বিষয়ক উদ্যোগের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখিত বিবাহরীতিগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনগত স্বীকৃতির ক্ষেত্রে, অধিকাংশ সার্বভৌম রাষ্ট্র ও অন্যান্য বিচারব্যবস্থা বিবাহকে দু'জন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সীমিত করে এবং এদের মধ্যে হাতে গোনা কিছু রাষ্ট্র বহুবিবাহ, শিশুবিবাহ এবং জোরপূর্বক বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। বিগত বিংশ শতাব্দীতে এসে, ক্রমবর্ধমানভাবে বহুসংখ্যক রাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিচারব্যবস্থা আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিবাহ, আন্তঃধর্মীয় বিবাহ এবং অতি সাম্প্রতিকভাবে সমলিঙ্গীয় বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতি নিয়েছে। কিছু সংস্কৃতি তালাকের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেয় এবং কিছু স্থানে রাষ্ট্রের আইনগত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শিশুবিবাহ এবং বহুবিবাহ সংঘটিত হয়ে থাকে। বিবাহের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিবাহের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিবাহের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে "দাম্পত্য জীবন" হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন ধর্মে বিবাহের বিভিন্ন রীতি প্রচলিত। একইভাবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন প্রথায় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনি প্রথাও বটে। বিবাহবহির্ভুত যৌনসঙ্গম অবৈধ বলে স্বীকৃত এবং ব্যভিচার হিসাবে অভিহিত একটি পাপ ও অপরাধ। এখনকার সময়ে বিবাহকে শুধুমাত্র চুক্তি বলে অবিহিত করার বিপরীতে একে মানুষিক বন্ধন ও সমাজে বৈধ ভাবে একত্রে বসবাস করার পন্থা হিসাবেও দেখা যেতে পারে।
No comments