Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গঙ্গাসাগর মেলায় ১ কোটি পুন্যার্থীর সমাগম

গঙ্গাসাগর মেলায় ১ কোটি পুন্যার্থীর সমাগম
এক কোটি। মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থী সমাগমের এই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল গঙ্গাসাগর। এই সংখ্যা আরও কয়েক লক্ষ বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে প্রশাসন। মেলার ইতিহাসে এটাই সর্বকালীন রেকর্ড। সোমবার সাংবা…

 




গঙ্গাসাগর মেলায় ১ কোটি পুন্যার্থীর সমাগম


এক কোটি। মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থী সমাগমের এই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল গঙ্গাসাগর। এই সংখ্যা আরও কয়েক লক্ষ বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে প্রশাসন। মেলার ইতিহাসে এটাই সর্বকালীন রেকর্ড। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘এদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত এক কোটি মানুষ স্নান সেরে ফিরে গিয়েছেন।’ শাহিস্নানের সময় রাত পর্যন্ত থাকায় শেষ লগ্নেও সমুদ্রতটে নেমে আসে পুণ্যার্থীদের ঢল। 

গত কয়েকদিন কনকনে ঠান্ডায় কাবু গোটা সাগরদ্বীপ। এদিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ভোর হতে না হতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে বেলাভূমি। দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যায়। উত্তুরে হাওয়ার দাপট ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেও পুণ্যার্জনে আসা তীর্থযাত্রীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা জলে ডুব দেন সবাই। এক, চার, পাঁচ এবং ছ’নম্বর বিচে কালো মাথার থিকথিকে ভিড় দেখা দেয়। কুয়াশার দাপট এতটাই যে, ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত কিছুই দেখা যায়নি। এই কারণে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় অনেক পুণ্যার্থীকে। কুয়াশার কারণে অনেকে আত্মীয় পরিজনদের হারিয়ে ফেলেন। বিচে কর্তব্যরত সাগররক্ষীরা হ্যান্ডমাইকে নিখোঁজদের নাম ঘোষণা করে ডাকাডাকি শুরু করেন। সকালে কুয়াশার কারণে দু’নম্বর বিচ থেকে মন্দির চত্বর, কিছুই দেখা যাচ্ছিল 

না। তবে স্নানে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। কিন্তু ভোর থেকে ভেসেল চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ফের চালু হয় সকাল ন’টার পর। 

এই সময় ব্যাপক ভিড় জমে যায় লট এইট জেটিঘাটে। এর প্রতিবাদে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পরে কয়েকটি ভেসেল চালিয়ে আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের কচুবেরিয়ায় রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। বেলার দিকে লোক সমাগম কিছুটা কমে যায়। তবে দুপুরের পর ফের ভিড় আছড়ে পড়ে প্রতিটি বিচে। রাতেও চলে স্নান। তবে সন্ধ্যার পর ভাটার কারণে ফের বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল চলাচল। তার ফলেও বহুক্ষণ আটকে থাকতে হয় অসংখ্য পুণ্যার্থীকে। পরিষেবা শুরু হলে উঠে যায় অবরোধ।

ভিড়ের নিরিখে রেকর্ড গড়ার দিনই গঙ্গাসাগরকে কেন জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, এই প্রশ্ন তোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সাগর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এরপরও কেন এটিকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হবে না?’ অন্যদিকে জানা গিয়েছে, গতবার মেলায় ৮০ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান করে গিয়েছিলেন। এক বছরের মাথায় সে রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপে মেলার ডিউটি দিতে এসে ধনঞ্জয় হাঁসদা নামে এক পুলিসকর্মীর রহস্যমৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রামে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

No comments