Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পিছু হটল কেন্দ্র, উঠল ট্রাক ধর্মঘট, জ্বালানি সঙ্কটের আতঙ্কে তোলপাড়

বিবেচনার বার্তায় পিছু হটল কেন্দ্র, উঠল ট্রাক ধর্মঘট, জ্বালানি সঙ্কটের আতঙ্কে তোলপাড়
 কৃষি আইন, কুস্তি ফেডারেশন বিতর্কের পর এবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা! আন্দোলনের চাপে ফের পিছু হটল মোদি সরকার। ‘হিট অ্যান্ড রান’ সংক্রান্ত নয়া আইনের প্র…

 




বিবেচনার বার্তায় পিছু হটল কেন্দ্র, উঠল ট্রাক ধর্মঘট, জ্বালানি সঙ্কটের আতঙ্কে তোলপাড়


 কৃষি আইন, কুস্তি ফেডারেশন বিতর্কের পর এবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা! আন্দোলনের চাপে ফের পিছু হটল মোদি সরকার। ‘হিট অ্যান্ড রান’ সংক্রান্ত নয়া আইনের প্রতিবাদে সোমবার থেকে দেশজুড়ে চলছে তিনদিনের ট্রাক ধর্মঘট। তার জেরে যে কোনও সময় জ্বালানি সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা চরমে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই বিবেচনার বার্তা দিয়ে পিছু হটল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার রাতে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, সরকার এখনও ন্যায় সংহিতা আইন কার্যকর করেনি। ভবিষ্যতে তা কার্যকর করার আগে নির্দিষ্ট ধারাটি নিয়ে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে আইনের ওই অংশ সংসদে সংশোধন করা হবে। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সভাপতি অমৃতলাল মদন জানিয়েছেন যে, এই অাশ্বাস পেয়ে রাতেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হল। 

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নয়া আইনে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে, তাতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন ট্রাক চালকরা। ওই আইনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর চালক যদি পুলিসকে না জানায় বা পালানোর চেষ্টা করে, তাহলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে। এই আইনকে ঢাল করে অকারণ পুলিসি হেনস্তা এবং জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন চালকরা। এর প্রতিবাদেই চলছে ধর্মঘট। 

ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তেল ট্যাঙ্কার সহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা। বহু তেল ট্যাঙ্কার কাজ না করায় জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। পেট্রল পাম্পগুলিতে আচমকা ভিড় জমতে শুরু করে। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো কঠিন পরিস্থিতি এখনও বাংলায় হয়নি। তবে ধর্মঘটের কারণে কাজ বন্ধ ছিল হলদিয়া, দুর্গাপুর এবং মালদহের ডিপোয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রসেনজিৎ সেন জানিয়েছেন, এদিন মেদিনীপুর, আসানসোল, বর্ধমানের পাশাপাশি বীরভূম ও মালদহের বহু পেট্রল পাম্পেও জ্বালানি ছিল না। 

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুজরাত-উত্তরপ্রদেশে। যোগীরাজ্যে গুলি চলেছে বলেও খবর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে পেট্রল-ডিজেল কেনার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় চণ্ডীগড়। বাইক-স্কুটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার এবং চারচাকার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার তেল দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে রাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সবপক্ষই। 

No comments