পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে প্রথম হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি গ্রাম উন্নয়ন কাজে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে প্রথম হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি । খরচের পর…
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে প্রথম হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি
গ্রাম উন্নয়ন কাজে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে প্রথম হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি । খরচের পরিমাণ ৯৯.১৭ শতাংশ । অন্যদিকে এই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন কাজের নিরিখে এই ব্লক রাজ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে । সোমবার রাজ্যের দেওয়া পোর্টালে সেই বার্তা চাউর হয়েছে ।
পঞ্চায়েত সিস্টেমে টায়েড ,আনটায়েড দু ধরনের ফান্ডে উন্নয়ন কাজ হয়ে থাকে । টায়েড ফান্ডে সাবমারসিবল বসানো, নিকাশি, শৌচাগার নির্মাণ কাজগুলি হয়ে থাকে । আনটায়েড ফান্ডে রাস্তা, বাড়ি, মার্কেট কমপ্লেক্স, কর্ম তীর্থ, পার্ক, বিদ্যুদয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি কাজগুলো হয় । ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৮০ টাকা, ২০২১- ২২ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০২২ - ২৩ অর্থ পর্ষে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রভূত কাজ হয়েছে । ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে প্রথম পর্বে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দেওয়া ৭৩ লাখ টাকা ঢুকেছে । সেই টাকায় কাজের মূল্যায়নে রাজ্যের ৩৪৪ টি পঞ্চায়েত সমিতিকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি । চলতি অর্থবর্ষে ৯৯.১৭ শতাংশ খরচের পরিমাণ তাক লাগিয়ে দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের । তারপরেই রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া পঞ্চায়েত সমিতি । চলতি অর্থ বর্ষে তাদের ব্যায়িত অর্থের পরিমাণ ৯২.১ ১ শতাংশ । মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির থেকে খরচে ৭ শতাংশ পিছনে রয়েছে কাটোয়া পঞ্চায়েত সমিতি । মহিষাদল ব্লকে রয়েছে ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত । প্রতিবছর উন্নয়ন কাজের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ৬০ লাখ করে টাকা পেয়ে থাকে ।বিভিন্ন গ্রাম উন্নয়নমূলক কাজে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে সম্মিলিতভাবে সম্মানজনক জায়গায় রয়েছে । রাজ্যের মূল্যায়নে গড়ে ৮৪.৭৭ শতাংশ টাকা খরচ করে রাজী পঞ্চম স্থান দখল করেছে মহিষাদল ব্লক । এমন জোড়া সাফল্যে খুশির হাওয়া এলাকায় । এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শিউলি দাস জানান,"আমরা সারা বছর উন্নয়ন কাজের সঙ্গে থাকি । মানুষকে যথাসাধ্য পরিষেবা দিতে আমরা দায়বদ্ধ । আজ রাজ্যের প্রশাসনিক মূল্যায়নেও তা প্রমাণিত হলো । এই সাফল্য আমাদেরকে আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে ।" সাফল্য মহিষাদলবাসীর সকলের সাফল্য । এমনটাই জানালেন মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী । তিনি বলেন,"প্রশাসনিক জায়গায় পরিকল্পনা তৈরি করে আমরা এলাকায় রূপায়ণের উদ্যোগী হই ঠিকই । কিন্তু এলাকার মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা থাকে বলেই আমরা কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি । তাই আগামী দিনে এলাকার মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে আরো বেশি বেশি উন্নয়ন কাজ হবে এই আশা রাখি । উন্নয়ন কাজে আমাদের আরও বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল ।" এবার এলাকাভিত্তিক ছোট বড় বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সূত্রে জানানো হয়েছে ।
No comments