ধৃত প্রাক্তন ডিআই(মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার ও প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়াকে সাতদিনের হেফাজতে নিল সিআইডি
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন ডিআই(মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার ও প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়াকে সাতদিনের হেফাজতে নিল সিআইডি…
ধৃত প্রাক্তন ডিআই(মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার ও প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়াকে সাতদিনের হেফাজতে নিল সিআইডি
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন ডিআই(মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার ও প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়াকে সাতদিনের হেফাজতে নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকে তমলুক সিজেএম কোর্টে তোলা হয়। এদিন নিজেদের হেফাজতে পেয়েই সিআইডি তাঁদের ভবানীভবনে নিয়ে যায়। সেখানেই ধৃতদের জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতি সহ আর বেশকিছু ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। প্রধান শিক্ষক ও প্রাক্তন ডিআই গ্রেপ্তারের ঘটনায় গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হইচই পড়ে গিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সিআইডি তমলুকের খামারচক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করে। গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তমলুকের খামারচক হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো গত ৪ডিসেম্বর বর্তমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) তমলুক থানায় এফআইআর করেন। ওই স্কুলের ভুয়ো শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়া ছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালন কমিটির তৎকালীন প্রশাসক এবং তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়। এরপর গত ৮ডিসেম্বর সিআইডি ওই ঘটনার তদন্তে খামারচক হাইস্কুলে পৌঁছয়। পাশাপাশি ডিআই(মাধ্যমিক) অফিসেও যায়। দু’জায়গা থেকে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪সালে ১৫জুলাই খামারচক হাইস্কুলে ধৃত প্রধান শিক্ষকের ভাইপো শুভেন্দু হাটুয়াকে সহ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের রেজ্যুলিউশন করা হয়। তিনি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের সহ শিক্ষক। ঠিক হয়, শুভেন্দু হাটুয়া বিনা পারিশ্রমিকে পড়াবেন। স্কুলে ওই বিষয়ের শিক্ষক পদ তৈরি হলে তাঁর চাকরি পাকাপোক্ত হবে। সেইমতো ১৫জুলাই তাঁকে নিয়োগপত্র দেন হেড মাস্টার। ১৭তারিখ থেকে শুভেন্দু হাটুয়া স্কুলে যোগ দেন। তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় খামারচক হাইস্কুলে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন সাবজেক্টে কোনও পদ ছিল না। ২০১৭সালে ৩১জানুয়ারি স্কুলে ওই সাবজেক্টে শিক্ষক পদ মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারপর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে শুনানি হয়। সেখানে প্রধান শিক্ষকের এনওসির ভিত্তিতে শুভেন্দু হাটুয়ার নিয়োগকে রেগুলার করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৈরি করা শূন্যপদে ওই শিক্ষকের নিয়োগে সিলমোহর দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুভেন্দুবাবু যাতে সহ শিক্ষক হিসেবে পুরো মাইনে পান সেজন্য তৎকালীন ডিআই চাপেশ্বরবাবু গ্র্যান্ট অ্যাপ্রুভালের জন্য পর্ষদে চিঠি দেন। তারপর থেকেই শুভেন্দু হাটুয়া নিয়মিত মাইনে পান। এসএসসিকে এড়িয়ে বেআইনিভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন সোমা রায় নামে একজন। সেই মামলায় শুভেন্দু হাটুয়াকে অপসারণ করার পাশাপাশি এফআইআর করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই ঘটনায় তৎকালীন ডিআই এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক আপাতত সিআইডি হেফাজতে।
No comments