Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

উপোস করলে কি গলব্লাডারের স্টোন বেশি হয়?

মা-ঠাকুমারা কথায় কথায় উপোস করেন। উপোস করলে কি গলব্লাডারের স্টোন বেশি হয়?
গলব্লাডার স্টোন কীলিভারের সঙ্গে যুক্ত একটি বিশেষ অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বিভিন্ন ধরনের বাইল বেরয়। লিভার থেকে বইল বেরিয়ে এসে জমা হয় এক বিশেষ থলিতে যার নাম গলব্লা…

 


মা-ঠাকুমারা কথায় কথায় উপোস করেন। উপোস করলে কি গলব্লাডারের স্টোন বেশি হয়?


গলব্লাডার স্টোন কী

লিভারের সঙ্গে যুক্ত একটি বিশেষ অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বিভিন্ন ধরনের বাইল বেরয়। লিভার থেকে বইল বেরিয়ে এসে জমা হয় এক বিশেষ থলিতে যার নাম গলব্লাডার বা পিত্তথলি। আমরা খাদ্যগ্রহণ করার পর, পিত্তরস বা বাইল লিভার থেকে বেরয় ও প্রথমে পিত্তথলিতে জমা হয়। এরপর পিত্তথলি থেকে পিত্তনালীর মাধ্যমে খাদ্যনালীতে বাইল। এভাবেই পিত্তথলি খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে আমাদের। তবে পিত্তথলিতে যে বাইল জমা হয় তার পরিমাণ খুব কম। তবে সেইলই আবার ঘন হয়ে পাথরের আকার ধারণ করে।

কেন পিত্তথলিতে স্টোন তৈরি হয়?

আমরা কোনও ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে, সেই ফ্যাট, কোলেস্টেরল ইত্যাদি শোষিত হয় পিত্তরসের মাধ্যমে। আবার প্রয়োজন মতো শরীর থেকে ফ্যাট নিষ্কাশিত হয়ে যায়।

এই সমগ্র পদ্ধতির মধ্যে একটা ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে, তখনই স্টোন তৈরি হতে থাকে। স্টোন একটিও তৈরি হতে পারে আবার একাধিক স্টোনও থাকতে পারে।

কাদের বেশি হয় স্টোন

শিশু থেকে বয়স্ক— যে কারও স্টোন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে দেখা গিয়েছে সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম এমন নারী বা যাঁদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে— তাঁদের স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এই ঘটনার পিছনে হরমোনের একটা যোগ আছে।

উপোস মানেই গলব্লাডার স্টোন?

উপোস করলেই যে গলব্লাডারে স্টোন হবে এমন নয়। তবে হ্যাঁ, দিনের দু’টি প্রধান মিল বা খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়লে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অসংযমী জীবনযাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবও অস্বীকার করার জায়গা নেই।

গলব্লাডার স্টোনের লক্ষণ

১) পেটের উপরের অংশে ভার বোধ হওয়া।

২) সামান্য খাদ্য গ্রহণের পরেই পেট ভরে গিয়েছে মনে হয়।

৩) রোগীর বমি বমি ভাব দেখা যায়।

৪) খাবার খাওয়ার পরেই পেটের ডানদিকের ওপরে ব্যথা হতে পারে।

জটিলতা

স্টোনের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে জন্ডিস, প্যাংক্রিয়াটাইটিস হতে পারে। এছাড়া অ্যাকিউট কোলেসিস্টাইটিস বা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রোগীর প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, বমি, জ্বর, এমন সমস্যাও হতে পারে।

রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষা

পেটের একটা আলট্রাসাউন্ড ও কিছু রক্ত পরীক্ষা। লিভার ফাংশন টেস্টও করাতে দেওয়া হয়।

চিকিৎসা

গলব্লাডার স্টোনে ওষুধের বিশেষ ভূমিকা নেই। অপারেশনই একমাত্র পথ। আজকাল মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে সহজেই অপারেশন হচ্ছে ও রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কাজেও যোগ দিচ্ছেন। তাই স্টোন ধরা পড়লেই চিকিৎসা করান সুস্থ থাকুন।

No comments