ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/CUSD55bNhv0
হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বি*চারিতা অবলম্বন করছেন? অভিযোগ শ্রমিক মহলেবছর শুরুতেই শ্রমিকদের ক্ষোভ! বন্দরের ভিতরে শ্রমিক অসন্তোষ প্রায় লেগেই রয়েছে । ৪ ঠা জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গণ …
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/CUSD55bNhv0
হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বি*চারিতা অবলম্বন করছেন? অভিযোগ শ্রমিক মহলে
বছর শুরুতেই শ্রমিকদের ক্ষোভ! বন্দরের ভিতরে শ্রমিক অসন্তোষ প্রায় লেগেই রয়েছে । ৪ ঠা জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গণ ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে দেখালো বন্দর কর্তৃপক্ষে প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ারের সামনে।
জানা যায় ১৯৬৮ সালে ৬৮ মৌজা অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে হলদিয়া বন্দর তিলে তিলে তিলো তোমায় হয়ে উঠেছে। ভারতবর্ষের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় হলদিয়া বন্দর কাজের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। সেই বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন শ্রমিকমহর। বন্দরের একাংশ শ্রমিক কর্তৃপক্ষের দিকে আগুল তুলছে, অভিযোগ করছেন হলদিয়ার ভূমীহারা মানুষের দল। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ারের সামনে কর্ম ও বাসস্থানের দাবিতে লাগাতার অনশন চলছে যা ভারতবর্ষের অন্যান্য অনশনকে অতিক্রম করেছে রেকর্ড হতে চলছে বন্দরের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর কর্ম ও বাসস্থানের দাবি নিয়ে অনশন।
দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বন্দরের ভিতরে কাজ করতেন সেই সকল শ্রমিকরাও কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। বিভিন্ন সময় তারা প্রশাসনিক ভবন এবং বন্দরের গেটে ধর্ণা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দীর্ঘ আঠারো মাস তাদের গেট পাশ থাকা সত্ত্বেও কাজ বন্ধ করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। কাজ না করেও ফাইভ স্টার শিপিং ঠিকাদার সংস্থা ১৩৭ জন লেবারের, লেবার কমিশনের নিয়ম মেনেই বেতন দিয়ে আসছেন। ফাইভস্টার শিপিং টেন্ডার দিয়ে কাজ পাওয়ার পরেও সেই সকল শ্রমিক এবং ঠিকাদারি সংস্থাকে কাজে লাগানোর পক্ষপাতিত্ব করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। শ্রমিকদের ক্ষোভ বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বিচারিতা করছেন। যে কাজ পেয়েছে তাকে কাজ না দিয়ে কাজ দিচ্ছে অন্য সদ্য জন্ম লাভ করা একটি ঠিকাদারি সংস্থাকে। ফাইভ স্টার শিপিং কাজ পাওয়ার পর কাজ করতে গেলে শ্রমিকদের কাজে বাধা দিচ্ছে। শ্রমিকের ছবিকে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা নিয়ে সদ্য জন্মলাভ করা একটি ঠিকাদার সংস্থা ?আজ বন্দরের প্রশাসনিক ভবনে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ ডেপুটেশন দিলেন। যদিও বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না , প্রতিনিধি হিসেবে একজন তাদের ডেপুটেশন নিয়েছেন এবং ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি ফাইভ স্টার শিপিং ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ১৩৭ জন শ্রমিক রয়েছেন তাদের আধার কার্ড কাজ না করেও ঠিকাদার সংস্থা যথারীতি তাদের বেতন দিয়ে গেছেন সমস্ত শ্রমিকদের। সেই সমস্ত আইডেন্টটি আজ বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন। জানালেন বন্দরের শ্রমিক বানেশ্বর রাজ। যদিও শ্রমিকদের এ এম এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষের নামে গেট পাস হয়েছে ফোনেও তাদের পাওয়া যায়নি, জানা যায় ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি ফাইভ স্টার শিপিং তাদের ম্যানেজমেন্ট অসুস্থ থাকার প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন উৎপল খাটুয়া তিনি জানান আমাদের কাছ থেকে সমস্ত ডকুমেন্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন কোন ডেপুটেশন দিলে সেই কপি রিসিভ হয় না বন্দরের রীতি অনুযায়ী। তাই শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য নিলেন কিন্তু রিসিভিং করে দিলেন না। যদিও বন্দরের শ্রমিকদের একাংশের দাবি এর আগেও আমরা এই ধরনের ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছেন । কারণ অন্য ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে বন্দরের গোপন আঁতাত রয়েছে সেই জন্যই আমাদের এই ডকুমেন্ট রিসিভ করে দেয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোনে পাওয়া যায়নি। সূত্রে জানা যায় কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দরে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই নিয়েই এখন চরম ব্যস্ততার।
No comments