Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

যোগ্যশ্রী’ নামে এই প্রকল্প চালু করলেন - মুখ্যমন্ত্রী

‘যোগ্যশ্রী’ নামে এই প্রকল্প চালু করলেন - মুখ্যমন্ত্রী 
তফশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর দিল রাজ্য সরকার। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল প্রবেশিকা এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দ…

 

‘যোগ্যশ্রী’ নামে এই প্রকল্প চালু করলেন - মুখ্যমন্ত্রী 


তফশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখবর দিল রাজ্য সরকার। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল প্রবেশিকা এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেবে রাজ্য।  ধনধান্যে স্টেডিয়ামে এই প্রকল্পের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘যোগ্যশ্রী’ নামে এই প্রকল্প পরিচিত হবে। এর আগেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ চালু ছিল রাজ্যে। তবে এবার তার ব্যাপ্তি বাড়ছে। ১৯৬ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো আগে। এবার তা বেড়ে ৩২০ ঘণ্টার হচ্ছে। এছাড়া ৩৬টির পরিবর্তে ৫০টি সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর সুযোগ পাবেন ২০০০ ছাত্রছাত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত দু’বছরে প্রশিক্ষিত দু’হাজার ৮০০ পড়ুয়ার মধ্যে দু’হাজার ২৫৪ ছাত্রছাত্রী সাফল্য পেয়েছেন। সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণের জন্যও ৪৬টি কেন্দ্র চালু হচ্ছে। যেখানে আরও ২৩০০ যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

এদিন স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্টস ইন্টার্নশিপ স্কিমের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলেজ স্তর থেকেই সরকারি কাজে ব্যবহার করা হবে এই ছাত্রছাত্রীদের। ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করবেন তাঁরা। এই সময়কালে তাঁরা মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃণমূল স্তর থেকে পড়ুয়াদের তুলে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এর ফলে ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁদের প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে এই ইন্টার্নশিপ পুনর্নবীকরণের সুযোগ রাখা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতিতে গ্র্যাজুয়েশন স্তরে ইন্টার্নশিপকে আবশ্যিক করা হয়েছে। ফলে একদিকে সরকার তাঁদের ব্যবহার করে উপকৃত হবে। অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীরাও ভাতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্রেডিট স্কোর অর্জন করবেন যা তাঁদের মার্কশিটে উল্লেখ করা থাকবে।

এদিন রাজ্য সরকারের একগুচ্ছ প্রকল্পের বিষয়েও আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বেশ কিছু প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে কন্যাশ্রী, বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পগুলির বিষয়ে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তখন তাঁর বাবা গত হয়েছেন। মায়ের কাছে হাত পাতা যাচ্ছে না। কলেজে ভর্তির জন্য তিনি নিজের মটরমালার হার বিক্রি করেন। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কারণে ছাত্রছাত্রীদের সেই ধরনের সমস্যায় আর পড়তে হয় না। 

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নেতাজির লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’ এবং স্বামী বিবেকানন্দর ‘এ কল টু দ্য নেশন’ বই দু’টি স্কুল স্তরে আবশ্যিক করার নির্দেশ দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবকে।

No comments