Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় পুরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে

কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় পুরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে
কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় হলদিয়া পুরসভার উন্নয়ন কাজ থমকেবন্দর ও রেলের মতো কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলির সঙ্গে হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনের জেরে থমকে গিয়েছে শহরের …

 



 কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় পুরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে


কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় হলদিয়া পুরসভার উন্নয়ন কাজ থমকে

বন্দর ও রেলের মতো কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলির সঙ্গে হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনের জেরে থমকে গিয়েছে শহরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থার বাধায় পুরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমি জটিলতায় পুরসভার উন্নয়ন ব্যাহত হলেও ইদানীং সেই সমস্যা তীব্র আকার নিয়েছে। কোথাও টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর ফের বন্দরের চিঠিতে পুর কর্তৃপক্ষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোথাও আবার প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ হলেও  বন্দর ‹নো অবজেকশন› দেয়নি। শ্মশানের বিদ্যুৎ চুল্লি থেকে নিকাশি, নদীপাড়ের সৌন্দর্যায়ন থেকে সোলার প্রকল্প—সবই বাধার মুখে থমকে গিয়েছে। দু’পক্ষের একাধিক চিঠি আদানপ্রদানেও জমি জট খোলেনি। এদিকে, রাজ্য সরকারের সংস্থা হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (এইচডিএ) অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে রাস্তার উপর থেকে বাজার সরাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বালুঘাটায় সানসেট ভিউ পয়েন্টে পুরসভার পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্প থমকে গিয়েছে বনদপ্তরের বাধায় এমন অভিযোগও উঠছে।  

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত জমি নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি থমকে রয়েছে। হলদিয়ায় বেশিরভাগ সরকারি জমি মূলত দু’টি সংস্থা, বন্দর ও এইচডিএর হাতে রয়েছে। রেলের হাতেও কিছু জমি রয়েছে। পুরসভা পরে গঠিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাদের  নিজস্ব জমি সামান্য। ফলে উন্নয়নের কাজ করতে গেলে প্রায় জমি জটিলতার ফাঁসে আটকে পড়েছে প্রকল্পগুলি। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে হলদিয়ার টাউনশিপে হলদি নদীর পাশে পড়িয়ারচকে শ্মশানে বিদ্যুৎ চুল্লি, দুর্গাচকে হুগলি নদীর পাশে শ্মশানের আধুনিকীকরণ, টাউনশিপে নদী মোহনার রিভার ড্রাইভে সোলার ইকো পার্ক, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশির মতো একাধিক প্রকল্প থমকে রয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, বিদ্যুৎ চুল্লির প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৭ কোটি টাকা, সোলার ইকো পার্কের প্রকল্পের ব্যয় ৮কোটি টাকা এবং ৪কোটি টাকার নিকাশি প্রকল্প রূপায়িত করা যাচ্ছে না। 

হলদিয়ার পুর প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুর এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে গেলেই বন্দর, রেল না হলে এইচডিএর জমিতে করতে হয়। সেই জমিতে কাজ করার ছাড়পত্র বা নো অবজেকশন সহজে মিলছে না। কোটি কোটি টাকার প্রকল্প দেড় বছর ধরে আটকে। শিল্পশহরে একটি বৈদ্যুতিক শ্মশান চুল্লি খুবই জরুরি। ৭ কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। দু’টি চুল্লি থাকবে প্রকল্পে। কিন্তু কাজের শুরুতেই বন্দর বাধা হচ্ছে। বন্দর জমির জন্য ৯০ লক্ষ টাকা চেয়েছে। ওরা সোলার ইকো পার্কের অনুমোদনও দিচ্ছে না। ফলে, আইওসির সিএসআর প্রকল্পে পার্কটি দেড় বছরের বেশি আটকে। পুরসভার বক্তব্য, জনস্বার্থে ওই শ্মশানে চুল্লি বসাচ্ছে পুরসভা। ওই এলাকায় আগেই শ্মশান ছিল পুরসভার। কীভাবে টাকা চাইছে বন্দর? বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস বলেন, শ্মশান জনস্বার্থে হলেও ইলেকট্রিক চুল্লি বাণিজ্যিকভাবে চালানো হবে। সেজন্য বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী টাকা চাওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটবে বলে আশা করছি। 

দুর্গাচক সংলগ্ন কুমারচক এলাকায় রেলের জন্য পুর নিকাশি বছরের পর বছর ব্যাহত হচ্ছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। এদিকে, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সামনে থেকে বাজার সরাতে এইচডিএকে জমি চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জমি দিতে এইচডিএ ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ। এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর বলেন, এসডিও অফিসের উল্টোদিকে যে জমি পুরসভা চেয়েছে, তা ভিজিট করা হয়েছে। জমি দেওয়ার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বালুঘাটায় ইকো ট্যুরিজমের সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর, জানান জেলা বন আধিকারিক সত্যজিৎ রায়। তিনি বলেন, বনদপ্তর সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে কংক্রিটের নির্মাণ কাজ নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হবে না।  

No comments