ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন https://youtu.be/R7qZ_B3H8t8
শোলাট মহেন্দ্র বালিকা বিদ্যাভবন গভঃ স্পনসর্ড!৭০ বর্ষ পূর্তি উদযাপন ও প্রথম পুনর্মিলন উৎসববিদ্যাসাগর মহাশয়ের মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিরক্ষরতা অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে …
শোলাট মহেন্দ্র বালিকা বিদ্যাভবন গভঃ স্পনসর্ড!৭০ বর্ষ পূর্তি উদযাপন ও প্রথম পুনর্মিলন উৎসব
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিরক্ষরতা অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে কন্যা সন্তাদের জীবনে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তারই জন্মদিন উদযাপিত হবে, প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যিনি এগিয়ে এসেছিলেন ১৯৫৪ সালে মুক্তাকেশী সিনহা। গ্রামের কন্যা সন্তানরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে সে কথা কেউ ভাবতে পারেনি বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুর শিক্ষা সংস্কৃতি এগিয়ে বিদ্যাসাগর নিজেই মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই জেলার শিক্ষায় অগ্রগতি ঘটাতেই শোলাট গ্রামে গ্রামবাসী সহ শিক্ষানুরাগী, শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বর্গীয় মুক্তাকেশী সিনহার হাত ধরেই ১৯৫৪ সালের ১ লা জানুয়ারি স্কুলটির শুরু হয়েছিল। প্রথমে মুক্তাকেশী সিনহার নিজে বাড়িতেই।
সেই বিদ্যালয়টি তিলে তিলে তিলোত্তমা হয়ে ৭০ বছর পেরিয়ে ৭১ বছরের পদার্পণ করলো ভূমিদাতাকে স্মরণ করে গত অক্টোবর মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিলেন । স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ শুরু করেছেন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা। প্রত্যন্ত গ্রামে মহিলাদের পড়ানোর উদ্যোগ আজ থেকে ৭০ বছর আগে তিনি নিয়েছিলেন সেই গ্রামের মহিলাদের সুশিক্ষিত করা এবং প্রয়াত মুক্তাকেশী সিনহার লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান স্কুলের অভিভাবক অভিভাবিকা শিক্ষানুরাগী শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সফল প্রচেষ্টায় ১২ থেকে ১৪ই জানুয়ারি তিন দিনের অনুষ্ঠান হতে চলছে। বিবেকানন্দের জন্মদিনে সকাল দশটায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং দুপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অতিথি বরন, গুণীজন সংবর্ধনা, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশিত নৃত্যনাট্য ঋতুরঙ্গ পরিবেশিত হবে।১৩ই জানুয়ারি-ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের দ্বারা পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছাত্রীদের দ্বারা পরিবেশিত নিত্য নাট্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষীরের পুতুল। ১৪ ই জানুয়ারি সকাল দশটায় প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন তৎ সহ প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব এবং বিকাল তিনটায় বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার বিতরণী সভা জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভনা প্রধান। তিনি আরো বলেন মেয়েদের স্কুলে একসময় হোস্টেল ছিল কিন্তু সুরক্ষার অভাবে হোস্টেল বন্ধ হয়ে গেছে। বাউন্ডারি ওয়াল এবং খেলার মাঠ জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। খেলার মাঠ এবং মহিলাদের হোস্টেল খুবই প্রয়োজন। অত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের পড়াশোনা আগ্রহ রয়েছে কিন্তু পরিকাঠামো না থাকার জন্য সমস্যা হচ্ছে। ৭০ তম বর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এখন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
No comments