Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্ত্রীর বিদ্যালয়ে অনিয়মেও অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অশোক হাটুয়া

স্ত্রীর বিদ্যালয়ে অনিয়মেও অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে  গ্রেফতার অশোক হাটুয়া
বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভাকে গোপন করেই ধৃত প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়া বাসুদেবপুর কন্যা গুরুকুল বিদ্যালয়ে পরিচালন কমিটি গড়েছিলেন। নিজেই হয়েছিলেন সেই ক…

 


স্ত্রীর বিদ্যালয়ে অনিয়মেও অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে  গ্রেফতার অশোক হাটুয়া


বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভাকে গোপন করেই ধৃত প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়া বাসুদেবপুর কন্যা গুরুকুল বিদ্যালয়ে পরিচালন কমিটি গড়েছিলেন। নিজেই হয়েছিলেন সেই কমিটির সভাপতি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পদে বসিয়েছেন স্ত্রী সোমা ভৌমিক হাটুয়াকে। বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভার অধীনে চলা ওই স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ এসএসসি-র পরিবর্তে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে হয়। সেখানেও টাকার বিনিময়ে দু’জন শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে আর্য সমাজ বাসুদেবপুর কমিটির পক্ষ থেকে ডিআই শুভাশিস মৈত্রের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। শুভাশিসবাবু বলেন, ওই দুই শিক্ষিকার গ্র্যান্ট অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হয়নি।

সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভার তত্ত্বাবধানে ১৯৬৭ সালে নন্দকুমারে বাসুদেবপুর কন্যা গুরুকুল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করবে। তার পুরো মাইনে দেবে রাজ্য সরকার। গুরুকুল বিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ১৩০০ ছাত্রী রয়েছে। বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভা অনুমোদিত আর্য সমাজ বাসুদেবপুর ট্রাস্ট হিসেবে দেখভাল করে। অপরদিকে, আর্য সমাজ বাসুদেবপুরের কর্মকর্তাদের নিয়েই স্কুল কমিটি তৈরি হয়। আর্য সমাজ বাসুদেবপুরের সম্পাদক তথা স্কুলের জমিদাতা নারায়ণচন্দ্র মাইতি বলেন, একদা সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদকের হাত ধরে অশোককুমার হাটুয়া স্কুলে আসেন। তিনি এই কমিটিতে ঢুকে পড়েন। তারপর বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভাকে গোপন করে নিজের মতো ঘুঁটি সাজিয়ে ২০১৭ সালে স্কুল কমিটি গড়ে ফেলেন। এর প্রতিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভার পক্ষ থেকে আমহার্ট স্ট্রিট থানায় এফআ‌ইআর হয়।

শুধু তাই নয়, স্কুল কমিটির পাশাপাশি আর্য সমাজ বাসুদেবপুর কমিটিতেও নিজের কিছু পেটোয়াকে ঢুকিয়ে জমিদাতা সহ দীর্ঘদিন ধরে ওই সংস্থার সঙ্গে জড়িতদের একপ্রকার তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ভয় দেখিয়ে পর পর শিক্ষিকা নিয়োগ হয়। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে। সেই কাণ্ডে যুক্ত ধৃত ডিআ‌ই চাপেশ্বর সর্দারও। ২০২২ সালে ইংরেজি এবং অঙ্ক বিষয়ে আরও দু’জন শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রায় দেড়শো জন আবেদনকারী এসেছিলেন। অভিযোগ, মাথাপিছু ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দু’জনকে নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আর্য সমাজ বাসুদেবপুরের পক্ষে নারায়ণন্দ্র মাইতি ডিআই (মাধ্যমিক) শুভাশিস মৈত্রের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ওই দু’জনের গ্র্যান্ট অ্যাপ্রুভাল বাতিল হয়।

আর্য সমাজ বাসুদেবপুরের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্রবাবু এবং বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভার সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, অশোক হাটুয়া উড়ে এসে এই স্কুলে জুড়ে বসেছেন। প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই স্কুলে পরিচালন কমিটির সভাপতি হয়ে গিয়েছেন। নিজের মতো করে আর্য সমাজ বাসুদেবপুর কমিটি গড়েছেন। অথচ, তাতে বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভার অনুমোদন নেই। গোটাটাই বেআইনি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এখানে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করাটাই তাঁর লক্ষ্য। ইতিমধ্যে এখানে নিয়োগ নিয়ে অনেক দুর্নীতি করেছেন। নিজের স্ত্রীকে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ঢুকিয়েছেন। তিনি গ্রেপ্তার হতেই এলাকার বাসিন্দরা তাঁর অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।

No comments