গাড়ির বকেয়া কর আদায় নতুন স্কিম চালু করল পরিবহন দপ্তর
রাজ্যের সমস্ত ধরনের গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে ১ জানুয়ারি থেকে ওয়েভার স্কিম চালু করেছে পরিবহণ দপ্তর। সরকারি এই ছাড়ের আওতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ির মালিকদের আনার লক্ষ্যে ভেহিকেল লোক…
গাড়ির বকেয়া কর আদায় নতুন স্কিম চালু করল পরিবহন দপ্তর
রাজ্যের সমস্ত ধরনের গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে ১ জানুয়ারি থেকে ওয়েভার স্কিম চালু করেছে পরিবহণ দপ্তর। সরকারি এই ছাড়ের আওতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ির মালিকদের আনার লক্ষ্যে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) নিয়ে আরও নমনীয় হল রাজ্য। ভিএলটিডি ছাড়াই গাড়ি সংশ্লিষ্ট আরটিও অফিসে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাজির করিয়ে সিএফ, পারমিটসহ যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র হাতে পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ভিএলটিডি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিন-তিনটি সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেগুলির মোদ্দা বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত সমস্ত গাড়িতে ভিএলটিডি বসাতে হবে। অপরাধ রুখতে ও নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ওই যন্ত্র না-বসালে সিএফ কিংবা পারমিটের জন্য গাড়ি পরীক্ষার সময়ই তা আটকে যাবে। অর্থাৎ ভিএলটিডি এড়িয়ে গাড়ির প্রয়োজনীয় সরকারি নথি মিলবে না।
পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের বক্তব্য, বহু গাড়ির মালিক এই কর ছাড়ের সুবিধা নিতে আগ্রহী। কিন্তু সিএফ করাতে গেলে গাড়ি আরটিও অফিসে নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিএলটিডি না-থাকায় তা আটকে যাচ্ছে। স্বভাবতই সিএফ খাতে সরকারের পাওনা টাকা জমা করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বকেয়া হাজার হাজার টাকার কর মেটানো জন্য মালিকরা তৈরি থাকলেও ভিএলটিডি লাগানোর বাড়তি খরচের বোঝা অনেকেই নিতে চাইছেন না। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকে এই সরকারি ছাড়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছিলেন। এই জটিলতা কাটাতে পরিবহণ দপ্তর এই যন্ত্র বসানোর কড়াকড়ি থেকে সরে এল। সরকারের এমন ‘নমনীয়’ মনোভাবের মেয়াদ অবশ্য ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
No comments