সময় মত হাসপাতালে না আসায় বি এম ও এইচ কে কড়া ধমক দিলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক
অফিসে সময়মতো না আসায় শনিবার মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচকে কড়া ধমক দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। পাশাপাশি বিএমওএইচের বিরুদ্…
সময় মত হাসপাতালে না আসায় বি এম ও এইচ কে কড়া ধমক দিলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক
অফিসে সময়মতো না আসায় শনিবার মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচকে কড়া ধমক দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। পাশাপাশি বিএমওএইচের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করারও ইঙ্গিত মিলেছে। ওই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে অনিয়মিত ডিউটি, সময়মতো হাসপাতালে না আসা, কাজে গাফিলতি সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নামে জেলা প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে সম্প্রতি অভিযোগ করেন স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। বিধায়কের অভিযোগ পেয়েই এদিন মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন সিএমওএইচ বিভাস রায়। হাসপাতালের নবনির্মিত ব্লক পাবলিক হেল্থ ইউনিটের পরিষেবা স্থানীয় মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছেন না। অটো অ্যানালাইজারের মতো আধুনিক যন্ত্র অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। রোগীকল্যাণ সমিতির মিটিং দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বিধায়কের এই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। বিএমওএইচের ঘরে তালা ঝুলতে দেখে তিনি খোঁজ নেন। তখনও বিএমওএইচ ফারুক আজাদ হাসপাতালে পৌঁছননি। তাঁকে ফোন করেন সিএমওএইচ। অফিসে দেরিতে আসায় ফোনেই রীতিমতো কড়া ধমক দেন তিনি। এরপর সিএমওএইচ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, স্টোর, আউটডোর, বিপিএইচইউ ঘুরে দেখেন, রোগীদের সমস্যার কথা জানতে চান। প্রায় ঘণ্টাদেড়েক হাসপাতালে ছিলেন সিএমওএইচ। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে এসে পৌঁছন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁকে এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দেন সিএমওএইচ। তিনি বলেন, বিএমওএইচ সময়মতো আসেননি এবং পরিষেবা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সেই ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের লক্ষ্য, গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা এবং মানুষের সাশ্রয়। বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, বিএমওএইচ কাজে গাফিলতি করেন। উনি হাসপাতাল কেয়ার্টারে থাকেন না। বিপদে আপদে তাঁকে পাওয়া যায় না। তাঁর টালবাহানার জন্য নতুন ল্যাব সঠিকভাবে চালু করা যাচ্ছে না। ইউরিন টেস্ট সহ একাধিক পরীক্ষা শুরু হয়নি। দেড় বছর ধরে হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং হয়নি। মানুষ পরিষেবা না পেয়ে অভিযোগ করেন, সেজন্য বিষয়টি সিএমওএইচকে জানাই। সিএমওএইচের ভিজিটে মানুষ খুশি। বিএমওএইচ বলেন, সিএমওএইচকে আমার সমস্যার কথা জানিয়েছি। দু›দিন আগে দিদা মারা গিয়েছেন। পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য এদিন দেরি হয়েছে। তবে বিধায়ক সঠিক অভিযোগ করেননি। মাত্র ৬ মাস আগে এই হাসপাতালে যোগ দিয়েছি। কেন দীর্ঘদিন রোগীকল্যাণ সমিতির মিটিং বন্ধ জানি না। তিনি বলেন, আধুনিক ল্যাব চালু হলেও পরীক্ষার জন্য সব ধরনের রিএজেন্ট না থাকায় সব পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে এর রিক্যুইজিশান পাঠিয়েছি।
এদিন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালেও সারপ্রাইজ ভিজিট করেন সিএমওএইচ। তবে ওইসময় হাসপাতাল সুপার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অন্য কাজে বাইরে ছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ হাসপাতালে আসেন এবং আউটডোর শিফ্টিংয়ে দেরি হচ্ছে কেন তা নিয়ে খোঁজ নেন। ভগ্নপ্রায় হাসপাতাল থেকে আউটডোর দ্রুত না সরানোয় তিনি ক্ষুব্ধ।
No comments