চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর আকাল হাসপাতালে
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্কটে ভুগছে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল। অভিযোগ, সেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশা। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে বেশ কিছু বিভাগে সপ্তাহে দু'দিন বা চার দিন চিকিৎসক উ…
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর আকাল হাসপাতালে
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্কটে ভুগছে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল। অভিযোগ, সেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশা। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে বেশ কিছু বিভাগে সপ্তাহে দু'দিন বা চার দিন চিকিৎসক উপস্থিত থাকছেন। বাকি দিন কোনও চিকিৎসক পাওযা যাচ্ছে না। হাসপাতালে শল্য বিভাগের এক জন মাত্র চিকিৎসক আছেন। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, তিন জন শল্য চিকিৎসক থাকা বাঞ্ছনীয়। সেখানে এক জন চিকিৎসক থাকায় বহির্বিভাগে শুধু মাত্র দু'দিন রোগী দেখা হচ্ছে। বাকি চার দিন রোগীদের যেতে হচ্ছে তমলুক জেলা হাসপাতাল বা তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে।
চক্ষু বিভাগও একই অবস্থা। তিন জন চিকিৎসকের বদলে রয়েছে এক জন চিকিৎসক। অস্থি বিশেষজ্ঞ তিন জনের পরিবর্তে দু'জন রয়েছেন। ফলে সপ্তাহেদু'দিন বহির্বিভাগে অস্থি বিশেষজ্ঞ পাওয়া যায় না। চর্ম বিভাগে এক জন চিকিৎসক রয়েছেন। তিন দিন চর্ম বিভাগে চিকিৎসক পাওয়া গেলেও বাকি তিন দিন চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না বহির্বিভাগে। জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার ১২ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৫ জন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও জরুরি বিভাগে ডিউটি করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীর অবস্থা আরওখারাপ। চতুর্থ শ্রেণিরর স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা থাকা উচিত ১৩০। সেখানে বর্তমানে স্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা ১৩ আর অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা ৩৩। অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের এক টানা ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ কাজ করতে হচ্ছে। হাসপাতালে সুপার সুভাষ মাহাতো বলেন, "বেশ কিছু বিভাগে চিকিৎসক কম আছেন এবং স্বাস্থ্যকর্মীও কম রয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।"
No comments