Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অমৃত বেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যান সমিতির লিমিটেড জয়ী প্রগতিশীল পার্থী

অমৃত বেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যান সমিতির লিমিটেড জয়ী প্রগতিশীল প্রার্থী
 ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩  বুধবার অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। এই ৪টি গ্রামের সদস্যরা এই সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত। প্রতিনিধি নির্ব…

 



অমৃত বেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যান সমিতির লিমিটেড জয়ী প্রগতিশীল প্রার্থী


 ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩  বুধবার অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। এই ৪টি গ্রামের সদস্যরা এই সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত। প্রতিনিধি নির্বাচনের মোট আসন ৬৩ টি। ৫টি মহিলা সংরক্ষিত, ২টি তপশিলি জাতি বা উপজাতি সংরক্ষিত ও ৫৬ টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। সকাল থেকে ভোট গ্রহণ  শুরু হয়। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা  অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়।

বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা আসন পেয়েছেন ৩৪ টি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও ২৯ টি।

গতবারে সমবায় প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের প্রতিনিধিরা ডাইরেক্টর বোর্ড গঠন করেছিলেন। কিন্তু এবারের প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা লড়াই ময়দানে নামলেও বামেদের সমবায়ের বোর্ড উপহার বিজেপি 

মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ায় সমবায় ভোটে সিপিএমকে রিটার্ন গিফট দিল বিজেপি। কয়েকমাস আগে ‘টাই’ হওয়া পঞ্চায়েত বিজেপির হাতে তুলে দিতে পদ্ম শিবিরকে সমর্থন করেছিল সিপিএম। সিপিএমের দুই জয়ী প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। ছ’ মাস না যেতেই সিপিএমকে আস্ত সমবায় বোর্ড উপহার দিল বিজেপি। ‘লাল-কমল’ জোটের কৌশলী প্রয়াসে অমৃতবেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যাণ সমিতির বোর্ড দখল নিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল জোট। বাম জোটের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ৭ জন বিজেপি কর্মী হিসেবে শুধু পরিচিত নয়, তার মধ্যে রয়েছেন বিজেপি উপপ্রধানের ভাইও। বুধবার মহিষাদলে অমৃতবেড়িয়া সমবায় কৃষি কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে ৬৩টি আসনের মধ্যে রাম-বাম জোট পেয়েছে ৩৪টি আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন। ওই নির্বাচনকে ঘিরে গত পনের দিন এলাকায় ফের পঞ্চায়েত ভোটের আবহ তৈরি হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে নির্বাচন ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। গন্ডগোলের আশঙ্কায় প্রচুর পুলিস ও র‌্যাফ মোতায়েন ছিল। অমৃতবেড়িয়া, বাড় অমৃতবেড়িয়া, বামনপুর ও ঘাসীপুর চারটি গ্রামের প্রায় ১৬০০ ভোটার ছিলেন। ভোটকেন্দ্র স্থানীয় তিলোত্তমা সাবিত্রী গার্লস হাইস্কুল চত্বর এদিন কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল। ৬৩টি আসনের মধ্যে ৫টি মহিলা সংরক্ষিত এবং ২টি তফসিলি জাতি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এরমধ্যে একটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। তবে এদিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয় রাম-বাম জোট। 

কয়েকমাস আগেই অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ আসনের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি ৮টি করে আসন পায় এবং সিপিএম পায় ২টি আসন। ফলে ওই পঞ্চায়েতের ফলাফল অমিমাংসিত থাকে। শেষে প্রধান নির্বাচনের সময় সিপিএমের দুই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করায় তারা বোর্ড গঠন করে। এনিয়ে সিপিএমের অন্দরমহলে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সমবায় নির্বাচনে ফের সেই এক চিত্র বিতর্ক উসকে দিয়েছে। বামেদের রিটার্ন গিফট দেওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। সিপিএমের জেলা কমিটির পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, এরিয়া কমিটির অফিসে বসে বাম প্রগতিশীলদের তালিকা তৈরি হয়েছে। এখানে বিজেপির কোনও চিহ্ন নেই। তৃণমূল হেরে গিয়ে রামের ভূত দেখছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। বামেরা অস্বীকার করলেও বিজেপি নেতৃত্ব জোটে তাঁদের দলের উপস্থিতি স্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েতের মতো সিপিএম যাতে বিপাকে না পড়ে সেজন্য আলাদা প্যানেল না দিয়ে বাম প্রগতিশীল নামেই সবাই লড়াই করেছেন। এরমধ্যে বিজেপি উপপ্রধান পরেশচন্দ্র পাণিগ্রাহীর ভাই গণেশ পাণিগ্রাহীও রয়েছেন। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজেপির রঘুনাথ পাণিগ্রাহী এদিন বাম ও প্রগতিশীল জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, মানুষকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলেছিলাম, তার ফল মিলেছে। বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা তিলক চক্রবর্তী বলেন, ওই সমবায় বরাবরই বামেদের দখলে ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একই ফ্যামিলিতে অনেকগুলি করে ডেলিগেট করেছে এবং ভোটে জিতেছে। তাঁর অভিযোগ, সিপিএমের এরিয়া কমিটির অফিসে বসে রাম-বাম জোটের প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়ে নৈতিক জয় পেয়েছে।

No comments