Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হেরিটেজ সাইট’ কপালকুণ্ডলা মন্দির অবহেলায় জীর্ণ, ভগ্নপ্রায়

হেরিটেজ সাইট’ কপালকুণ্ডলা মন্দির অবহেলায় জীর্ণ, ভগ্নপ্রায়
সংবাদদাতা, কাঁথি কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরে সাহিত্য সম্রাটের স্মৃতিবিজড়িত এবং হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত কপালকুণ্ডলা মন্দিরের জীর্ণদশা। এমনিতেই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দা…

 


হেরিটেজ সাইট’ কপালকুণ্ডলা মন্দির অবহেলায় জীর্ণ, ভগ্নপ্রায়


সংবাদদাতা, কাঁথি কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরে সাহিত্য সম্রাটের স্মৃতিবিজড়িত এবং হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত কপালকুণ্ডলা মন্দিরের জীর্ণদশা। এমনিতেই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও মন্দিরে কালীমূর্তি বসেনি। মন্দির এবছরও ফাঁকাই পড়ে রইল। মন্দিরের দেওয়াল এবং ছাদ থেকে সিমেন্টের চাঙড় ও পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। কার্যত ঝোপের আড়ালে মুখ ঢেকেছে কপালকুণ্ডলা মন্দির। মন্দিরের মূল লোহার গেট ভেঙে পড়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দিরের বেহাল দশা বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য। তাঁরা অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কারের দাবি ভুলেছেন।


দীর্ঘকাল ধরে প্রাচীন এই মন্দিরটি ভগ্ন এবং জীর্ণ অবস্থায় ঝোপঝাড়ের আড়ালে অবহেলার অন্ধকারে ঢাকা পড়েছিল। এলাকাবাসীর দাবি মেনে প্রাচীন এই মন্দিরটি সংরক্ষণে এগিয়ে আসে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। বছর দশেক আগে হেরিটেজ কমিশন ও তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচে মন্দিরটি সংস্কার করা হয়। তবে মন্দিরটি নতুন করে তৈরির পর এলাকাবাসীরদাবি ছিল, সেখানে কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হোক। প্রতিবছরই মূর্তি বসানো নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। এবছরও হয়েছে। কিন্তু মূর্তি বসেনি। এদিকে কপালকুণ্ডলা মন্দিরকে ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতবছর ডিসেম্বর মাসে হেরিটেজ কমিশনের তরফে এবিষয়ে জেলাশাসক ও পর্যটন দপ্তরের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় জানানো হয়েছিল, কপালকুণ্ডলা মন্দির, পাশ্ববর্তী পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর লাইটহাউসকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কী উন্নয়ন করা দরকার, তার একটি পরিকল্পনা তৈরি

করতে। মন্দিরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপশি, কোন প্রকল্প থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদ্যোৎপড়িয়ারি বলেন, এই মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি মন্দিরে কালীমূর্তি বসলে এর গুরুত্ব অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। পুজো হবে। বহু মানুষ মন্দির দর্শনে আসবেন।

এবিষয়ে জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ তথা কপালকুণ্ডলা স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি তরুণ জানা বলেন, এবছর ওড়িশা থেকে কষ্টিপাথরের কালীমূর্তি এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু মন্দিরটির যা অবস্থা, তাতে অবিলম্বে সংস্কারের দাবি বাসিন্দাদের

সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই মূর্তি বসানো সম্ভব নয়। মন্দিরটির আগে সংস্কার প্রয়োজন। আমরা হেরিটেজ কমিশন এবং জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার

No comments