ওয়েবসাইটে এই তথ্য ঘিরে বিভ্রান্তি। মহকুমাশাসক পুরপ্রধান! শুরু বিভ্রান্তি-বিতর্ক
হলদিয়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক। অথচ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই পুরসভার ওয়েবসাইটে প্রশাসককে উল্লেখ করা হয়েছে চেয়ারম্যান হিসাবে। শিল্পশহ…
ওয়েবসাইটে এই তথ্য ঘিরে বিভ্রান্তি। মহকুমাশাসক পুরপ্রধান! শুরু বিভ্রান্তি-বিতর্ক
হলদিয়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক। অথচ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই পুরসভার ওয়েবসাইটে প্রশাসককে উল্লেখ করা হয়েছে চেয়ারম্যান হিসাবে। শিল্পশহর হলদিয়া পুরসভার ওয়েবসাইটে মহকুমাশাসকে পুরপ্রধান হিসাবে উল্লেখ করায় বিভ্রান্তি থেকে শুরু করে বিতর্কও দেখা দিয়েছে।
গত ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২২ শেষ হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পুর বোর্ডের মেয়াদ। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর থেকে হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভা চট্টোপাধ্যায় পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। শিল্প শহরের ২৯টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলাচ্ছেন তিনি। হলদিয়া পুরসভার ওয়েবসাইটে তাঁর ছবি দেওয়া রয়েছে। আর সেখানে লেখা রয়েছে তিনি হলদিয়ার পুরপ্রধান। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা জেলা (তমলুক) তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলছেন, "নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই কেবলমাত্র পুরপ্রধান হতে পারেন। একজন প্রশাসক পুরপ্রধান হিসাবে পরিচয় দিতে পারেন না। এটা ফৌজদারী অপরাধের মধ্যে পড়ে।" স্থানীয় বিধায়ক তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপসী মণ্ডলের কথায়, "এমনটা হওয়া উচিত নয়। পুরসভার মতন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে।" একই রকমভাবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলছেন, "উনি শুধুমাত্র প্রশাসক। কী করে পুরপ্রধান হলেন!"
হলদিয়া পুরসভার ওয়েবসাইট দেখাশুনো করেন পুরসভার বিশেষজ্ঞ কর্মচারীরা। তাঁদের গাফিলাতিতেই এ ধরনের ত্রুটি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কী করে সকলের নজর এড়িয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারি ওয়েবসাইটে এই ভুল তথ্য রয়েছে! এ বিষয়ে মহকুমাশাসক তথা পুরপ্রশাসক সুপ্রভা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "বিষয়টি একেবারেই জানা ছিল না।খোঁজ নিয়ে দেখছি।"
No comments