Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ফাইল আটকে এমইডিতে, থমকে ৫ কোটির প্রকল্প, ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ

ফাইল আটকে এমইডিতে, থমকে ৫ কোটির প্রকল্প, ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ
সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস সহ হলদিয়া পুরসভার একাধিক বড় প্রকল্পের ফাইল মাসের পর মাস আটকে থাকায় মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের (এমইডি) উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ পুর কর্ত…

 


ফাইল আটকে এমইডিতে, থমকে ৫ কোটির প্রকল্প, ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ


সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস সহ হলদিয়া পুরসভার একাধিক বড় প্রকল্পের ফাইল মাসের পর মাস আটকে থাকায় মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের (এমইডি) উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিশেষ নির্দেশিকার পরও এমইডির এক শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ারের গড়িমসিতে গুরুত্বপূর্ণ ওই ফাইলগুলি পড়ে রয়েছে বসে অভিযোগ। আবার কোনও ফাইল ড্রইং ঠিক নেই বলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফাইল আটকে থাকায় মাঝপথে থমকে গিয়েছে টাউনশিপে পুরসভার সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসের কাজ। শুরু করা যাচ্ছে না পুরসভার সেন্ট্রাল কার সেডের কাজও। এমইডিতে ৪-৫ মাস ধরে ফাইল আটকে থাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। হলদিয়ার মহকুমাশাসক তথা পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্প বা স্কীম ভেটিং অর্থাৎ টেকনিক্যাল পরীক্ষার জন্য এমইডিতে পাঠানো হয়। সেই স্কীমের ফাইল আটকে থাকায় গত তিন-চার বছর ধরে উন্নয়নে সমস্যা হচ্ছে। ইদানিং সেই সমস্যা চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে

সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস গড়ছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই চার কোটি টাকা খরচে কংক্রিটের লেন সহ বিশাল ছাউনি তৈরি হয়েছে। এবার ড্রাইভারদের রেস্ট রুম, স্নানাগার, রেস্টুরেন্ট সহ একাধিক সুবিধেযুক্ত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিকমানের যাত্রী বিশ্রামাগার তৈরি হবে। এজন্য নিকাশি ক্যানেলের পাশে পাইলিং করা প্রয়োজন।

হলদিয়া পুরসভায় একজন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের জন্য রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া টাউনশিপে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে

কারণ প্রতিবছর আগস্ট- সেপ্টেম্বরে ষাঁড়াষাঁড়ি কোটাল বা ভারি বর্ষায় ক্যানেলের জলে বাসস্ট্যান্ড ডুবে যায়। বাসস্ট্যান্ড রক্ষা এবং নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য ওই পাইলিং প্রয়োজন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের জন্য ২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা এবং পাইলিংয়ের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকার দুটি স্কীম এমইডিতে ভেটিংয়ের জন্য দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। এছাড়া পুরসভার রবীন্দ্র-নজরুল মুক্তমঞ্চের পাশে এক কোটি টাকার একটি কার সেড স্কীম পাঠানো হয়েছে ৫-৬ মাস আগে। কার সেড না থাকায় পুরসভার ৪-৫ কোটি টাকার দামি গাড়ি রোদে জলে নষ্ট হচ্ছে। মাস ছ'য়েক আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এমইডিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে পুরসভার স্কীমের ভোটিং করতে হবে। ড্রইংয়ে কোনও ত্রুটি থাকলে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে পাঠিয়ে সংশোধন করে হাতে দিতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমইডির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ইঞ্জিনিয়ারিরা এই নিয়ম মানতে রাজি নয়। হলদিয়ার পুর প্রশাসক সপ্তাহখানেক এমইডির জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাস টার্মিনাসের মতো বড় প্রকল্প মাঝপথে থমকে রয়েছে। এমইডি ফাইল আটকে রেখেছে কয়েকমাস ধরে। রাজ্যেরনির্দেশিকা সত্ত্বেও ওরা টালবাহানা করছে। ফলে উন্নয়নের কাজে সমস্যা বাড়ছে, দ্রুত কোনও কাজ করতে পারছি না। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, এমইডিকে পুনরায় ফাইল দেখে ড্রইং সংশোধন করারা কথা বলার পরও তারা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই প্রকল্পের জন্য নতুন করে সয়েস টেস্ট করার কথা বলেছে। নতুন করে এই প্রক্রিয়ায় কাজ করতে গেলে ফের মাস তিনেক সময় লাগবে। পুর কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, লোকসভা ভোট ঘোষণা হলে কাজ আটকে যাবে এবং তারপর বর্ষায় আর কাজ করা যাবে না। এমইডির গড়িমসির জেরে বাস টার্মিনাসের কাজ আরও এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর কর্তৃপক্ষের দাবি, হলদিয়া পুর এলাকা বড় হওয়ায় এখানে উন্নয়নের কাজ ও প্ল্যান অনুমোদিনের জন্য এগজিকিউটিভ পদ মর্যাদার একজন ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের এক কোটি টাকা অব্দি স্কীমের ভেটিং করার ক্ষমতা রয়েছে। হলদিয়া পুরসভায় এ ধরনের কোনও প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট নেই। বর্তমানে পুরসভায়য় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। তিনি মাত্র ৫ লক্ষ টাকা অব্দি স্কীমের অনুমোদন দিতে পারেন। সেজন্য জেলায় এমইডির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে পাঠাতে হয় সিংহভাগ স্কীম। ফলে পদে পদে ধাক্কা খাচ্ছে পুর এলাকার উন্নয়ন।

No comments