নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশব্যাপী লাগাতার রেশন দোকান ধর্মঘট
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া আসেনি। তাই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশব্যাপী লাগাতার রেশন দোকান ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে এখনও অবিচল রয়েছে ডিলারদের সর্বভ…
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশব্যাপী লাগাতার রেশন দোকান ধর্মঘট
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া আসেনি। তাই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেশব্যাপী লাগাতার রেশন দোকান ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে এখনও অবিচল রয়েছে ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দাবিগুলি নিয়ে আলোচনায় বসার কোনও প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক কয়েকদিন আগে তাঁদের দাবিগুলির বিষয়টি খাদ্যমন্ত্রককে অবহিত করেছে। বিষয়টি অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে। শুধু এই পদক্ষেপের ভিত্তিতে পয়লা জানুয়ারির প্রস্তাবিত ধর্মঘট স্থগিত করা সম্ভব নয়। কারণ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ডিলারদের পক্ষে রেশন দোকান চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ডিলারদের সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১১ দফা ও রাজ্য সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেছে। কেন্দ্রের কাছে মূল আর্থিক দাবিটি হল, ডিলারদের মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ফেডারেশনের দাবি, এখন যে হারে কমিশন দেওয়া হয়, তাতে দোকান চালাতে মাসে ১৬ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। ‘চুরি’ করে রেশন দোকান চালাতে চাইছেন না তাঁরা। হুগলি শিল্পাঞ্চলের আড়াইশোর বেশি ডিলার বুধবার তাঁদের লাইসেন্স দপ্তরকে ফেরত দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও ডিলার এই পথে যেতে বাধ্য হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার কমিশন বাড়ানোর আর্থিক দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপাচ্ছে। আর রাজ্য অতিরিক্ত আর্থিক দায় নিতে চাইছে না। ধর্মঘট শুরুর আগে আগামী শুক্রবার মির্জা গালিব স্ট্রিটে রাজ্য খাদ্যদপ্তরের বাইরে ফেডারেশন অবস্থান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। সেখানে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের কুশপুতুলও পোড়ানো হবে। ১৬ জানুয়ারি দিল্লিতে মিছিল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
No comments