তাম্রলিপ্ত জেলার তৃণমূলের দলের নেতৃত্বের রদবদল
লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সারা রাজ্যে জেলাগুলি থেকে সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পরিবর্তন করল। শুধুই কি লোকসভা নির্বাচন এর আগেও দেখা গেছে অনেকবারই বিভিন্ন জেলার …
তাম্রলিপ্ত জেলার তৃণমূলের দলের নেতৃত্বের রদবদল
লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সারা রাজ্যে জেলাগুলি থেকে সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পরিবর্তন করল। শুধুই কি লোকসভা নির্বাচন এর আগেও দেখা গেছে অনেকবারই বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সভাপতি দায়িত্ব ছিলেন অধ্যাপক প্রাক্তন মন্ত্রী বিধায়ক ডঃ সৌমেন কুমার মহাপাত্র। সদ্য ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ শাসক দল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের দখলে রেখেছে।
যদিও শাসক দলের বহু মন্ত্রী এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন বিরোধীদের বহু কুৎসা অপপ্রচার এড়িয়ে শাসক দল তাদের নিজের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন করেছে শাসক দল তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ২২৩ টি তৃণমূল পেয়েছে ১৩৭ বিজেপি পেয়েছে ৬১ কংগ্রেস ১ ত্রিশঙ্কু ২৪টি । আসন সংখ্যা ৪২৯০ টি । তৃণমূল পেয়েছে ২৫৮৮ বিজেপি---১০০৯ বামফ্রন্ট ১৫০ কংগ্রেস ১৮৭ নির্দল ১৫ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মোট পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা ২৫ টি মোট আসন তৃণমূল ১৯টি বিজেপি ৪ ত্রিশঙ্কু ২ টি ৬৬৫টি তার মধ্যে তৃণমূল ৪২৩ টি বিজেপি ২৩৪ টি বামফ্রন্ট ৪ কংগ্রেস ২ নির্দল ১ সমান ১ পেয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২।
জেলায় ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় জেলা পরিষদের মোট আস ৭০ টি তৃণমূল পেয়েছে ৫৬ টি বিজেপি ১৪ টি।
শাসনকালের পক্ষ থেকে আজ ১৩ ই নভেম্বর সোমবার তালিকা প্রকাশ করতেই দলের কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রতি নিয়ত দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন তাহলে কি শাসক দল কোন নেতৃত্বের উপর ভরসা করতে পারছে না সে নিয়েও নিচতলার কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
যদিও দলের পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল যারা দলীয় সভাপতি ব্লকে এবং বুধবারে রয়েছেন ইতিমধ্যে তারা সদ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন দলের কর্মী ও চেয়ারের পরিবর্তন হবে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল আজ ১৩ ই নভেম্বর সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দলীয় নেতৃত্বদের পরিবর্তনের তালিকা প্রকাশ হল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক চেয়ারপারসন হয়েছেন তরুণ মাইতি এবং জেলা সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন পীযূষ কান্তি পন্ডা। তমলুকের সাংগঠনিক চেয়ারপারসন হয়েছে চিত্তরঞ্জন মাইতি ও জেলার সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন অসিত ব্যানার্জি।
লোকসভা ভোটে প্রাক্কালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষপদে রদবদল ঘটাল শীর্ষ নেতৃত্ব। তমলুক ও কাঁথি দুই সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন পদেও। সেনাপতি বদল করে তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসক দল। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পরিবর্তন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। রদবদলে পুরনো দিনের নেতারা গুরুত্ব পেয়েছেন। ভোটের মুখে পুরনো দিনের কর্মীদের দলে ফেরানোর তাগিদ থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে অনেকেই মনে করছেন। এই রদবদলে নিচুতলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা খুশি। দুপুর থেকেই তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সৌমেন মহাপাত্রকে সরিয়ে রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় কোলাঘাটের নেতা অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন জেলা সভাপতি হিসেবে দল বেছে নিয়েছে। জেলা পরিষদে মেন্টর থাকা অসিতবাবু এই প্রথম এতবড় দায়িত্ব পেলেন। জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন নন্দীগ্রামের পীযূষকান্তি ভুঁইয়া। নতুন ঘোষিত কমিটিতে নন্দীগ্রামের ওই বর্ষীয়ান নেতাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন চেয়ারপার্সন হয়েছেন তমলুক শহরের প্রবীণ নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতি। এতদিন জেলা কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। এই প্রথম তাঁকে সংগঠনের সামনের সারিতে আনা হল।
রদবদল ঘটানো হয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলাতেও। ওই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি। তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। নতুন সভাপতি হয়েছেন পটাশপুর-১ব্লকের নেতা পীযূষকান্তি পণ্ডা। তিনি পটাশপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতিও। লড়াকু নেতা হিসেবে পরিচিত। কাঁথি লোকসভা ভোট বৈরতণী পেরনোর দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে তুলে দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন অভিজিৎ দাস মারা যাওয়ার পর নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এতদিন দলের জেলা সহ সভাপতি ছিলাম। অথচ নিজের এলাকাতেই সাংগঠনিক কাজকর্মে ব্রাত্য থাকতাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার চেষ্টা করব। দল আমার উপর যে আস্থা রেখেছে, তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব। অভিমানে কেউ বসে থাকলে তাঁকেও বিজেপি বিরোধী এই মহা লড়াইয়ে শামিল হওয়ার জন্য হাত ধরে তুলে আনব।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি হওয়ার পর পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, ২০২৪সালে কাঁথি লোকসভায় আমরা জিতবই। বিজেপি ২০০কোটি টাকা ঢাললেও জিততে পারবে না।
No comments