দীঘা যাওয়ার পথে মেচেদা বাইপাসে দুর্ঘটনা, বাবা ও ছেলে সহ মৃত ২ জখম ২
দিঘা যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ২
ব্যবসার কাজেই দীঘায় যাচ্ছিলেন দমদম থানার দুর্গানগরের বাসিন্দা বাবা ও ছেলে। কিন্তু, মাঝপথে কাঁথির মেচেদা বাইপা…
দীঘা যাওয়ার পথে মেচেদা বাইপাসে দুর্ঘটনা, বাবা ও ছেলে সহ মৃত ২ জখম ২
দিঘা যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ২
ব্যবসার কাজেই দীঘায় যাচ্ছিলেন দমদম থানার দুর্গানগরের বাসিন্দা বাবা ও ছেলে। কিন্তু, মাঝপথে কাঁথির মেচেদা বাইপাসে একটি বাসের সঙ্গে তাঁদের প্রাইভেট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান দু’জনেই। ওই দুর্ঘটনায় তাঁদের গাড়ির চালক এবং এক বাসযাত্রীও মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁদের পরিবারের আরও এক সদস্য। বুধবার বেলা ৩টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌঁছনোর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম আশিস সাহা (৫৪) ও তাঁর ছেলে সৌভিক সাহা (২২)। তাঁদের চালকের নাম অবশ্য জানা যায়নি। মৃত বাসযাত্রীর নাম মদনমোহন জানা (৫২)। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর বাড়ি। আশিসবাবুর ভাই উত্তম সাহা কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আশিসবাবুদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুর্গানগরে। তাঁদের রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসার কাজেই আশিসবাবু, তাঁর ছেলে এবং ভাই দীঘার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। তাঁরা লাল রঙের আই-২০ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেলে দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছনোর পরই নিমতার বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা পাড়া। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইপাস ধরে প্রাইভেট গাড়িটি দীঘার দিকে যাচ্ছিল। সেটির গতিবেগ অনেকটাই বেশি ছিল। উল্টোদিকে, কলকাতা-সোলপাট্টা রুটের একটি বেসরকারি বাসটিও দ্রুতগতিতে আসছিল। শকুন্তলা লজের সামনে বাঁকের মুখে প্রাইভেট গাড়িটি অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায়। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে এসে পড়ে। তারপরই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রাইভেট গাড়িটি ভয়ঙ্করভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিস ও স্থানীয়রা গাড়ি থেকে চারজনকে বের করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আশিসবাবু, তাঁর ছেলে সৌভিক ও চালককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসযাত্রী মদনমোহনবাবুরও মৃত্যু হয়। আশিসবাবুর ভাইকে কাঁথি থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। দুর্ঘটনার জেরে যানজটে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মাইতি বলেন, রাস্তার দু’দিকে ছোট ছোট ধাবা গজিয়ে উঠেছে। ইট, বালি সহ নানা ইমারতি সামগ্রী রেখে ব্যবসা চলছে। ফুটপাত বলে কিছু নেই। সেই কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এর আগেও এখানে দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইমারতি সামগ্রী এখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি আমরা। প্রত্যক্ষদর্শী শুভঙ্কর কামিল্যা বলেন, আমি রাস্তার পাশেই ছিলাম। দুপুরের পর হওয়ায় রাস্তা ফাঁকা ছিল। তাই দু’টি গাড়িরই গতিবেগ ছিল বেশি। এ ব্যাপারে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, সম্ভবত গাড়ি দু’টি অতিরিক্ত গতিতে চলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি।
No comments